বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েনর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট

 দুদকের মামলায় শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ট্রাস্টিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন: এম এ কাশেম ও রেহানা রহমান। তাদের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন। একটি হলো দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জানান, পৃথক আবেদনে তাদের কেন জামিন দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে ২ আগস্ট রুল জারি করেছিলো হাইকোর্ট। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তারা কারাগারে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

আসামিরা হলেন: তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ