রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়নির্বাচন ঘিরে সরব কূটনীতিকরা

নির্বাচন ঘিরে সরব কূটনীতিকরা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরব কূটনৈতিক অঙ্গন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও চীন, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এমনকি জাতিসংঘের মতো বিশ্ব সংস্থাও বসে নেই। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবাই কাজ করে চলেছে। দুই নেত্রীর ফোনালাপের পর নতুন করে সৃষ্ট জটিলতার পরও কূটনীতিকরা চাচ্ছেন সংকট নিরসন। যদিও তাদের এ তৎপরতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে রাজনৈতিক মহলে। কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের তৎপরতাকে ভালোভাবে নেয়নি সরকার পক্ষ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিষ্টাচার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে সামনে আনা হয়েছে। আবার বিরোধী দল বিএনপি কূটনীতিকদের এক পক্ষের বিষয়ে ইতিবাচক আরেক অংশের বিষয়ে চূড়ান্ত নেতিবাচক অবস্থানে আছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন চাইছে। তারা বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ইমেজ বহাল রাখার পক্ষে। কারণ এ অঞ্চলে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে উগ্রপন্থিদের তৎপরতা নেই। এই পজিটিভ ইমেজ ধরে রাখার জন্য কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হতে দেওয়ার পক্ষে কূটনীতিকরা।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ ও সংলাপের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। দুই সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর আগে তিনি গিয়েছিলেন নয়াদিল্লি। সেখানে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন মোজেনা। ঢাকায় ফিরেই তিনি বিবৃতি দিয়ে সংলাপের আহবান জানিয়েছেন এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগের দিন দুপুরে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সঙ্গে। বিকাল ও সন্ধ্যায় বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে। উভয় বৈঠকেই তিনি সংলাপের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন এবং সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। ঢাকা ত্যাগের দিন সকালে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে। সিরিজ বৈঠক শেষ করে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বৈঠকে ছিলেন মোজেনা। শুধু মোজেনাই নন, তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ড্যানি লুইজের সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে জামায়াতের শীর্ষ নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের। যুক্তরাষ্ট্র সর্বাপেক্ষা তৎপরতা দেখালেও এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারত। প্রতিবেশী ভারতের মতামত জানতে চাইছে সবাই। এ কারণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান উইলিয়াম হানা, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নিকোলাভ, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুনসহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিক একান্তে আলোচনা করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফসহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে পঙ্কজ শরণের বৈঠকও হয়েছে ঘন ঘন। তবে মোজেনার ভারত সফরের পর হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এ সাক্ষাতে উপস্থিত থাকতে ঢাকা সফরে আসেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিমও। দুই দেশের হাইকমিশনার একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোজেনার সফর ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা যেমন প্রকাশ্যে বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন, সে রকম কোনো প্রকাশ্য বক্তব্য বা বিবৃতি নেই ভারতের। বক্তব্য না থাকার কারণ হিসেবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি প্রতিবেশী বাংলাদেশের নিজস্ব ও অভ্যন্তরীণ। ভারত অন্য কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনোই হস্তক্ষেপ করে না। তাই এ নিয়ে মন্তব্যের কিছু নেই। অবশ্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিন এও বলেছেন, তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রমেই স্পর্শকাতর হয়ে যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় ভারত। এ নির্বাচন হতে হবে সংবিধান অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে ভারতের পছন্দ-অপছন্দের কোনো ব্যাপার নেই। আর একটি গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণই কাম্য। কোন দেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাদের নির্বাচিত করবে, তা পুরোপুরি সে দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে। ভারত সব সময়ই যে কোনো রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে উন্নতি গত কয়েক বছরে হয়েছে, ভারত চায় তা অব্যাহত থাক। ভারত মনে করে, এ উপমহাদেশের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকা জরুরি। ভারত কখনো চাইবে না, বাংলাদেশের মাটি ভারতবিরোধী কাজকর্মের জন্য ব্যবহৃত হোক। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিক, এটি ভারত চায় না। অন্যদিকে, সর্বাধিক সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত বিষয়েও মতভিন্নতা আছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মোজেনার নয়াদিল্লি সফর ও বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্পষ্ট করে বলেছেন, সবাই নন তবে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানছেন না। তারা শিষ্টাচার মেনে চলবেন এটাই কাম্য। যদিও রাষ্ট্রদূত মোজেনা ও হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ উভয়ই বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন, এর পরও ভারতের অবস্থান নিয়ে বিএনপির শীর্ষ মহলে বড় ধরনের আক্ষেপ আছে। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বাইরে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মহাসচিব বান কি-মুন। তিনি সব দলের প্রতি আইনের অনুশাসন মেনে চলা ও সংযমেরও আহ্বান জানিয়েছেন। তৎপর রয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেনও। বৃহস্পতিবারও তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেছেন শমসের মবিনের সঙ্গে। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এই সংকটে কূটনীতিকদের তৎপরতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, নিজেদের সংকট নিজেরা সমাধান করতে না পারার কারণেই কূটনীতিক দূতিয়ালির বিষয়টি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য দুঃখজনক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্রের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। সেই দেশ ৪০ বছর পরও তার নির্বাচন পদ্ধতি সাজাতে পারেনি। এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলের অনৈক্য বিদ্যমান, সব দলকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়নি কোনো পক্ষেই। যেহেতু তৈরি হয়নি সে কারণে অনেকের মধ্যেই শঙ্কা রয়েছে দেশ বড় ধরনের সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে কি না। ঘরের বাইরে সবাই শঙ্কিত যে আবার দেশটি সংঘর্ষের মধ্যে পড়ছে কি না। এখন যেহেতু বিশ্বব্যবস্থা পরিবর্তিত এবং জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে তারাও নিঃসন্দেহে চাইবে যে সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যে দেশটি যাতে না যায়। কারণ বাংলাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষ দেখা দিলে এ অঞ্চলের শান্তি বিঘি্নত হতে পারে। সব মিলিয়েই তারা চিন্তা করছে। ড. ইমতিয়াজ বলেন, আমাদের সংকট আমাদেরই মিটিয়ে ফেলা উচিত ছিল। রাজীতিবিদদের সমাধান করা উচিত ছিল। তাদের উচিত ছিল নমনীয় হওয়া। কিন্তু তারা তা পারেননি। কাজেই বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাদের নজরদারি ও তৎপরতা বাড়াবে এটাই স্বাভাবিক। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সি এম শফি সামি বলেছেন, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন পরামর্শ বিদেশিরা দিতেই পারে। তবে তা গ্রহণ করব কি করব না, তা একান্তই আমাদের নিজস্ব বিষয়। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে পারিনি বলেই বিদেশিরা এ সুযোগটি পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদূত মোজেনার দিল্লি সফরটিকে বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্র্জাতিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে এ ধরনের আলাপ-আলোচনা হতেই পারে। তবে তা কখনো জানান দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হয় না। এমন দৃষ্টান্তও নেই। বরং এ ধরনের আলোচনা কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেই সীমাবদ্ধ থাকে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের আলোচনার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতের দিল্লি সফর একটি নতুন উদাহরণ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কী ব্যাখ্যা আসে তা জানার বিষয়। সেই সঙ্গে এসব ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতও বটে।
আসছে সমন্বিত কূটনৈতিক উদ্যোগ : বিচ্ছিন্নভাবে নানান কূটনৈতিক উদ্যোগ ও বৈঠকের মাধ্যমে সংলাপ আয়োজনের অব্যাহত চেষ্টা চালাচ্ছেন ঢাকাস্থ কূটনীতিকরা। কিন্তু এত চেষ্টার পরও প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সংলাপের প্রায় কাছাকাছি এসে থমকে আছেন। তাই বিবৃতি ও আহ্বানের মাধ্যমে কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপরও সংলাপ বা সমঝোতা না হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সমন্বিত উদ্যোগের কথা ভাবছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিমা একটি দেশের কূটনীতিক জানান, দুই নেত্রীর টেলিফোন আলোচনা সংলাপের বিষয়ে আশার সঞ্চার করেছে। কিন্তু এই আলোচনার পর সৃষ্ট জটিলতা ও রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আবারও ঘোলাটে করেছে।
এখন সংলাপ না হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। এ কারণেই সমন্বিত উদ্যোগের কথা ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুসারে নভেম্বরের মাঝামাঝি পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা স্পষ্ট হবে। তখন সংলাপ না হলে ঢাকাস্থ কূটনৈতিক কোরের ডিনের নেতৃত্বে বা অন্য কোনো সিনিয়র রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করবেন। তারা সংলাপ বা অন্য কোনো উপায়ে সমঝোতার চেষ্টা চালাবেন। এই উদ্যোগ ঠিক কখন হতে পারে জানতে চাইলে ওই কূটনীতিক জানান, যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যায় আর সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হয় তখনই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এই সমন্বিত উদ্যোগকেই শেষ চেষ্টা বলে অভিহিত করতে চাচ্ছেন না কূটনীতিকরা। কারণ দেশগুলোর আঞ্চলিক বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তাগত কারণেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে চাইছেন কূটনীতিকরা। তাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন তারা।

জানা যায়, কূটনীতিকদের মধ্যে এখন চলছে নিজ নিজ দেশকে ব্রিফ করা ও নির্দেশনা নেওয়ার বিষয়। চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন বেইজিং সফর করে এসে সংলাপের আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমোও ফিরে এসে সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। এখন ওয়াশিংটনে গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মোজেনা। চলতি মাসেই সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি সফরে যেতে পারেন ভারতীয় হাইকমিশনারও। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ঢাকায় থাকবেন প্রায় সব কূটনীতিকই।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ