আজ সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ৫০০টি ‘মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৫০০টি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন এবং একই মঞ্চে জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে শুভেচ্ছা জানান।
দেশে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় ২৫০০০-৩৫০০০ জনসাধারণ বসবাস করে। বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠিই এখানে বাস করে। এসব জনগোষ্ঠির মধ্যে মা, নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এ প্রেক্ষিতে, জনগণের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এবং সেবাকেন্দ্র হতে ২৪/৭ স্বাভাবিক প্রসবসেবা প্রদানের জন্য সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি উপজেলা হতে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ৩৩৬৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে ৫০০টি কেন্দ্রকে প্রাথমিক পর্যায়ে মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রূপান্তন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সকল কেন্দ্রকে মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ৫০০টি ‘মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “দেশ সকল ক্ষেতে এগিয়ে গেছে। করোনায় বাংলাদেশ বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম হয়েছে। টিকাদানে বাংলাদেশ বিশে^ এখন রোল মডেল। বাংলাদেশ এমডিজি গোল অর্জন করে বিশে^ পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবার এই একটি ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় পেছনে আছে। এবার এটিতে আমরা লক্ষ্য অর্জন করবো। এজন্য দেশের ৩৩৬৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মধ্য থেকে প্রথমে ৫০০টি কেন্দ্রকে মডেল ইউনিয়ন ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করা হলো। পরবর্তী ধাপে আরো ৫০০টি কেন্দ্রকে মডেল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই ৫০০টি মডেল কেন্দ্রে এখন থেকে প্রসূতি মায়েদের জন্য ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা দেয়া হবে। এটি শুরু করার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা ৫০ ভাগ থেকে আরো বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ ভাগ হবে এবং পর্যায়ক্রমে সেটিকে ৯০ থেকে ১০০ ভাগে তুলে আনা হবে।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম আমিরুল মোর্শেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।