রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরাষ্ট্রের কাছে হয়তো কারণ আছে আমি হয়তো জানি না : বিদায়ী তথ্য...

রাষ্ট্রের কাছে হয়তো কারণ আছে আমি হয়তো জানি না : বিদায়ী তথ্য ও সম্প্রচার সচিব

সরকার বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদ্য বিদায়ী তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাছে হয়তো কারণ আছে আমি হয়তো জানি না । আমি আমার জীবনে নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কখনও কম্প্রোমাইজ করিনি। এ সময় তিনি নিজের বিরুদ্ধে উঠা সরকার বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মকবুল হোসেন দাবি করেন, ‘তারেক রহমানকে আমি সরাসরি কখনও দেখিওনি। বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় যদি আপনাদের কাছে আসে তাহলে পত্রিকায় প্রকাশ করবেন এবং খুঁজে বের করে প্রশ্ন করবেন।

আবেগাপ্লুত হয়ে বিদায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এ রকম অবস্থার জন্য আমি কখনও প্রস্তুত ছিলাম না। সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন। এর আগে রোববার (১৬ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অবসরের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ জানেন না তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাল দেখেছি। কী কারণ এটা আমি জানি না। অন্তর্হিত কারণ জানি না। এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলতে পারে। ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবে। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সরকারের মধ্যে অতীতেও ঘটেছে। সচিবের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সরিয়ে দেয়া বা তাকে অবসর দিয়ে অন্যত্র যুক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। এর যথাযথ ব্যাখ্যা একমাত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিতে পারবে।

মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর তা মনিটর করি। যে কাউকে নিয়েই আমি কাজ করতে পারি। কারণ সব কাজ আমি নিজে তদারকি করি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘কোনো সরকারি কর্মচারির চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মো. মকবুল হোসেনের। এক বছর আগেই তাকে অবসরে পাঠালো সরকার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ