মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......রাজধানীতে অবস্থান করছে লক্ষাধিক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার !

রাজধানীতে অবস্থান করছে লক্ষাধিক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার !

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

গোয়েন্দা নজরদারির বাইরে রাজধানীতে অবস্থান করছে ১ লাখ দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার। সরকারের শেষ দিনে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য রাজধানীর উত্তরা, মগবাজার, ক্যান্টমেন্ট, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া ও রজধানীর আশে-পাশে টঙ্গী, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নিয়েছে এসব সন্ত্রাসী ক্যাডাররা। ২৫ শে অক্টবরকে সামনে রেখে ২০ তারিখের আগেই শিবির নিয়ন্ত্রিত এসব এলাকার মেস গুলো অবস্থান নিয়েছে তারা। কিন্তু ২৫ তারিখ সরকার শেষ মূর্হুতে সমাবেশ করতে দেয়ায় এবং বিএনপির পক্ষ থেকে নাশকতা না করার কড়া নির্দেশনা থাকায় তারা বড় ধরণের কোন সহিংসতা করার সুযোগ পায় নি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।

২৫ তারিখের সমাবেশস্থল দেখা যায় ১৭টি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত বেক শিবির নেতাকে। হরতাল ঘোষণার আগেই তিনি জানান, তিনদিনের হরতালের ঘোষণা আসবে। একটু পর হরতালের ঘোষণা আসলে এই প্রতিবেদক আবারও ঐ নেতার সঙ্গে চা পান করার জন্য গিয়ে জানতে চাইলেন তাদের কি পরিকল্পনা। তখন ঐ নেতা জানান আগামী দিনের হরতাল ও তৎপরর্বতী আন্দোলনের যে কোন মূল্যে ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ এ শহীদের রক্তের বদলা নেয়া হবে। একটি বিশ্বস্থ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ফোন দেয়ার ফলে খালেদা জিয়া বিএনপির নেতারা নমনীয় হয়ে হরতাল প্রত্যহার করে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিল কিন্তু ১৮ জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কঠোর মনোভাবের কারণে তা সম্ভব হয় নি। এ বিষয়ে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ জানান, শিরিব নাশকতা করছে বলে সন্দেহ করছি তবে শিবির লক্ষাধিক ক্যাডার এর বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। এ দিকে জামায়াতে ইসলামীর একটি সূত্রে জানান তিন দিনের হরতালে সরকারের ভিত কাপিয়ে দেয়ার মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ তাদের হাতে রয়েছে ও সুইসাইড স্কোয়াড প্রায় ২ হাজার সদস্য মাঠে রয়েছে।  জামায়াত এর এসব পরিকল্পনার কথা আতিঙ্কত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিষ্ট ষ্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকোমল  বড়ুয়া বলেছেন, জামায়তকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। জামায়তের মতো জঙ্গি সংগঠনকে নির্মূল করতে গোয়েন্দাদের আরো বেশি তৎপর হতে আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ