বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়‌সংসদ এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন বৈধ

‌সংসদ এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন বৈধ

জাতীয় সংসদ এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন মূল নকশার বাইরে বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ দুটি বাসভবন বৈধ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ। আদালতে রাষ্টপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।

রায়ের পর শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, হাইকোর্ট যে, রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই দুটি বাসভবন বৈধ। পরিবেশবাদী সংগঠনের রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ২১ জুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন মূল নকশার বাইরে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনেস্কোর কাছে আবেদনেরও নির্দেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মাঝামাঝি সময়ে সংসদ ভবনের মূল ভবনের পাশেই খোলা সবুজ চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট (আইএবি) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে সংসদ সচিবালয় ও গণপূর্তের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে। এর মধ্যে নির্মাণ করা হয় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, জাতীয় সংসদের মূল নকশার স্থপতি লুই কান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) জন্য আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ