সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল : তাজুল ইসলাম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল : তাজুল ইসলাম

সরকারকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কথায় কথায় ভর্তুকি দিলে অন্য খাতে ইমব্যালেন্স চলে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেই প্রোজেক্ট আমাকে দুঃসময়ে দুর্দিনে সার্ভিস দেবে, একটু কষ্ট করে সেই কাজ যদি আমি না করি, তাহলে তো আমি সারা জীবনই দরিদ্র থাকব। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক নগর সংলাপের আয়োজন করে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম।

তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ২০৪১ সালের আগেই উন্নত রাষ্ট্র হব। কিন্তু সবকিছুর ওপরে তো আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের, এ ছাড়া আমরা মতামত দিই। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক সামাজিক টালমাটাল অবস্থা। দেশের অর্থনীতি ঠিক করার জন্য একদিকে নজর দেব আর অন্যদিকে দেব না, তাহলে দেশের অর্থনীতি মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে না।

সরকার এখন লং টার্ম প্রসপেক্টিভ গোল নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্নভাবে মানুষকে সক্ষম করে তুলছে। বড় প্রজেক্ট হচ্ছে মানে আমাদের আর্ন হচ্ছে, জিডিপি বাড়বে। সময়ে সময়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী অ্যাডজাস্টমেন্ট আসতে হয় বলে উল্লেখ করে তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘সারা পৃথিবীর পরিস্থিতি অনুযায়ী অ্যাডজাস্টমেন্ট আসে। আমাদের না আসার কোনো কারণ নাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমস্যা একা আমার হলে সেটা আমাকেই ঠিক করতে হবে। কিন্তু সমস্যা যখন বৈশ্বিক, সে ক্ষেত্রে আপনার-আমার ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করা উচিত।

ঋণ নেওয়ার বিষয়ে তাইজুল ইসলাম বলেন, বহু টাকা গেছে বিদেশে এবং তা ফিরিয়েও আনা হয়েছে। আইএমএফ থেকে আমরা মাঝে মাঝে ঋণ নিই এবং তা শোধ করে দিই। কোভিডের সময়েও নিয়েছি। এটা স্বাভাবিক বিষয়। আমার মনে হয় না দেশে কোনো সংকট আছে। কিছু কিছু যেগুলো আছে, সেগুলো আমরা সবাই মিলে মোকাবিলা করতে পারব।

মন্ত্রী জানান, ইউরোপের অধিকাংশ দেশসহ সারা বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ জ্বালানি আসে রাশিয়া থেকে, যা এখন পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের সব থেকে বেশি জ্বালানি সরবরাহ আসে ভেনেজুয়েলা থেকে। কিন্তু ভেনেজুয়েলার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সেখান থেকেও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

 পেট্রল-অকটেনের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গ্যাসফিল্ডগুলা থেকে যে গ্যাস ওঠে, এর সঙ্গে একটা লিকুইড ওঠে, যেটাকে রিফাইন করে আমরা পেট্রল ও অকটেন বানাই। কিন্তু এগুলো কারা ব্যবহার করে? যাঁরা গুলশানের মতন এলাকায় থাকেন, ১৫ টাকার পানি ২৫ টাকা দিয়ে কেনেন তাঁরা।’

আয়োজনে অন্যান্য বক্তার বক্তব্যে উঠে আসে, যে হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তাতে জনজীবনে সংকট ঘনীভূত হবে। সরকারের জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি না করে হয়তো উপায় ছিল না, কিন্তু এতটা মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয় বলে দাবি করেন তাঁরা। দেশে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো অক্টোবর মাস উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, এই সময় যদি অর্থনীতি ডাবল ডিজিটে চলে যায়, তবে সেটা জনগণের জন্য খুব ভালো হবে না। মূল্য কমানো হবে বলে শুধু আশার মধ্যে না রেখে এটি কার্যকর করার আহ্বান জানান বক্তারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ