সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিন২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের কোনো বৈধতা নেই : বিএনপি

২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের কোনো বৈধতা নেই : বিএনপি

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের কোনো বৈধতা নেই। সরকার আজ থেকে মৃত, সেই সঙ্গে হাসিনারও মরণ হয়েছে। সরকার এখন হিমঘরে রয়েছে। দেশনেত্রী (খালেদা জিয়া) আগামী ৭ নভেম্বর চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাফন সম্পন্ন করবেন।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দুপর ২টায় এ সমাবেশে শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

নগর বিএনপির সভাপতি বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। সভা, সমাবেশ ও মিছিলের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে সেই জনগণই এ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। সরকার হিমঘরে আছে আর আমরা থাকবো রাজপথে।’

এরই মধ্যে সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীদের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা আশ্বস্থ করতে চাই, আমাদের নেত্রী ক্ষমা করে দিয়েছেন। কারণ আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যাতে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে এক হয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আজকে যারা রাজপথে নেমেছেন তারা আর বাড়ি ফিরে যাবেন না। দেশকে তাবেদার মুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে সুশান ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনদাবির মুখে সমাবেশের অনুমতি যেমন দিয়েছে, তেমনি সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ওই  নির্বাচনে দেশনেত্রীর নেতৃত্বে বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসবে।’

প্রধান অথিতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘২৫ অক্টোবর থেকে হাসিনা সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। দেশবাসী আজ থেকে আইনের শাসন মানবে কিন্তু শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন মানবে না।’

কাজীর দেউড়ি সমাবেশের মাধ্যমে মহিউদ্দিন চৌধুরী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে নোমান বলেন, ‘আজকের সমাবেশ জনসমাবেশকে ছাড়িয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। আর গণঅভ্যুত্থান কোনো আইন মানে না। সরকার তাই এই গণঅভ্যুত্থানে ঠিকতে পারবে না।’

কাজীর দেউড়িতে মিলনমেলা বসেছে উল্লেখ করে নোমান বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে তালাক দিয়েছে।  তাকে এমন তালাক দিয়েছে সেটি এক তালাক, দুই তালাক নয়, একেবারে তিন তালাক।’

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক বেগম রোজী কবির, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর সংসদ সদস্য মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সামশুল আলম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

এর আগে দুপুর ২টায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে দুটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে চট্টগ্রাম ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়। তবে সমাবেশের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এসময় তাদের হাতে যুদ্ধাপরাধীদের দায়ে দণ্ডিত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্লেকার্ড ও ফেস্টুন ছিল। তারা শিবিরের সভাপতির মুক্তির দাবিতেও স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ