বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় ও মেগাপ্রকল্পের ধীরগতিতে ক্যাব চট্টগ্রামের ক্ষোভ!

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতায় ও মেগাপ্রকল্পের ধীরগতিতে ক্যাব চট্টগ্রামের ক্ষোভ!

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহ ও সদিচ্ছায় চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আর এর মধ্যেই একটু বৃষ্ঠিতেই পুরো নগরী তলিয়ে যাচ্ছে। র্দীঘ সময় ধরে প্রকল্পগুলি চলমান হলেও কাজের অগ্রগতি তেমন না থাকায় নগরবাসীর ভোগান্তি ক্রমাগতই বাড়ছে। অপরদিকে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতার এই দুর্ভোগের জন্য নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবা সংস্থাগুলো বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এক অপরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্ঠা করছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের ধীরগতি ও নানা অসঙ্গতির কারণে বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের আওতায় খালে দেয়া বাঁধ অপসারণ না করা এবং বিভিন্ন নালা-নর্দমা ময়লা-আবর্জনা ভর্তি থাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হচ্ছে। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে পুরো নগরী তলিয়ে যাচ্ছে। এ কারনে জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগ ও বিপুল পরিমান বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগনের নির্বাাচিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশন এর নেতৃত্বে সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত, কাজের গুনগত মান নিশ্চিতে নাগরিক পরীবিক্ষন ও দীর্ঘসুত্রিতা বন্ধ করে প্রকল্পের সুফল নগরবাসী যেন পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।

১৯ জুন ২০২২ইং রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য খালগুলোতে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এই বাঁধ সরানো হয়নি। জোয়ারের পানি প্রবেশরোধে রেগুলেটর বসানো কথা ছিল। কিন্তু এখনো তা হয়নি। এছাড়া নালা-নর্দমা আবর্জনামুক্ত না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণেই চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই পুরো নগরী পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন নগরবাসীর নির্বাাচিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর পুরো দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আর কোন কর্তৃপক্ষ জবাবদিহিতার আওতায় আসতে না চাইলে নগরবাসীর কাছে বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের আওতায় বেশ কয়েকটি কয়েকটি খাল ও ড্রেনে বাঁধের  নির্মানের কারণে পানি নামতে না পারার অভিযোগ সিটি করপোরেশন থেকে করা হয়ে আসছিলো। কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্যক ছিলো। এখাতে বিশেষজ্ঞ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতগুলো বারবার উপেক্ষা করার কারনে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো জনগনের জন্য আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপে পরিনত হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। আর জলাবদ্ধতার কারনে একটু বৃষ্ঠি হলেই বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিচু এলাকায় বসবাসরত এবং অফিসগামী লোকজনকে বারবার চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ী, অফিস আদালত, কলকারখানা সবাইকে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্ঠি হলেই পাহাড় ধ্বস হয়, আর প্রাণহাণি লেগেই আছে। পাহাড় ধ্বস রোধে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদসহ নানা সুপারিশ আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। প্রাণহাণি হলেই প্রশাসনের ঠনক নড়ে এবং যারা বসতি স্থাপনের হোতা তারাই আবার সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে সরব হন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ