১৯ জুন ২০২২ইং রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য খালগুলোতে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এই বাঁধ সরানো হয়নি। জোয়ারের পানি প্রবেশরোধে রেগুলেটর বসানো কথা ছিল। কিন্তু এখনো তা হয়নি। এছাড়া নালা-নর্দমা আবর্জনামুক্ত না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণেই চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই পুরো নগরী পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন নগরবাসীর নির্বাাচিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর পুরো দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আর কোন কর্তৃপক্ষ জবাবদিহিতার আওতায় আসতে না চাইলে নগরবাসীর কাছে বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের আওতায় বেশ কয়েকটি কয়েকটি খাল ও ড্রেনে বাঁধের নির্মানের কারণে পানি নামতে না পারার অভিযোগ সিটি করপোরেশন থেকে করা হয়ে আসছিলো। কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্যক ছিলো। এখাতে বিশেষজ্ঞ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতগুলো বারবার উপেক্ষা করার কারনে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো জনগনের জন্য আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপে পরিনত হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। আর জলাবদ্ধতার কারনে একটু বৃষ্ঠি হলেই বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিচু এলাকায় বসবাসরত এবং অফিসগামী লোকজনকে বারবার চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ী, অফিস আদালত, কলকারখানা সবাইকে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্ঠি হলেই পাহাড় ধ্বস হয়, আর প্রাণহাণি লেগেই আছে। পাহাড় ধ্বস রোধে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদসহ নানা সুপারিশ আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। প্রাণহাণি হলেই প্রশাসনের ঠনক নড়ে এবং যারা বসতি স্থাপনের হোতা তারাই আবার সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে সরব হন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।