সীতাকুণ্ডে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার। ৫ জুন রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
নিহত যে ২২ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- হাবিবুর রহমান (২৩), রবিউল ইসলাম (১৯), মমিনুল হক (২৪), মহি উদ্দিন (২২), তোফায়েল ইসলাম (২২), আফজাল হোসেন, মো. সুমন (২৮), ইব্রাহিম হোসেন (২৭), ফারুক জমাদ্দার (৫০), মো. হারুন (৫৫), মো. নয়ন (২২), শাহাদাত হোসেন (২৯), শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার, মো, রিদুয়ান (২৫), রানা মিয়া, তহিদুল হাসান, নাজিমউদ্দিন রুবেল, নিপন চাকমা, মিঠু দেওয়ান, আলা উদ্দিন (৩৫), শাকিল তরফদার ও মো. মনিরুজ্জামান (২২)।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিস্ফোরণ ও আগুনে এখন পর্যন্ত মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪১ জনের লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। বাকি আট জনের লাশ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকতে পারে। অন্যদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এদিকে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে নির্ধারিত বুথে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় যারা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তাদের স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যে কোনো দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেসব লাশের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।