শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......সন্তানের ওপর তার পিতামাতার ভরণপোষণ বাধ্যতামূলক

সন্তানের ওপর তার পিতামাতার ভরণপোষণ বাধ্যতামূলক

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

সন্তানের ওপর তার পিতামাতার ভরণপোষণ বাধ্যতামূলক করে এবং ভরণপোষণের ব্যবস্থা না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেলের বিধান করে সংসদে একটি বেসরকারি বিল বৃহস্পতিবার পাস হয়েছে। পিতামাতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে এবং মাতার অবর্তমানে নানা-নানীকে ভরণপোষণ করতে হবে।

কোনো সন্তানের স্ত্রী বা স্বামী পিতামাতার ভরণপোষণ না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।
বিল অনুযায়ী পিতামাতা আলাদাভাবে বসবাস করলে তাদের সন্তানের আয়ের ১০ শতাংশ নিয়মিতভাবে দিতে হবে। পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকলে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে ভরনপোষণ করতে হবে। ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিল ২০১৩’ নামে এটি পাসের প্রস্তাব করেন জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নূ। পরে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বুধবার সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সভায় এ বিলটি পাসের সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রী ছাড়া অন্য সদস্যরা আইন উত্থাপন করলে তা বেসরকারি বিল হিসেবে বিবেচিত হয়। সংসদে বেসরকারি বিল পাসের ঘটনা খুবই কম। এ নিয়ে নয়টি সংসদে মোট সাতটি বেসরকারি বিল পাস হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমান সংসদে তিনটি বেসরকারি বিল পাস হলো। চলতি সংসদে সর্বশেষ ২০১১ সালে সাবের হোসেন চৌধুরীর ‘দ্যা লেপারস (রিপিল) অ্যাক্ট, ২০১১’ সংসদে পাস হয়।
পিতা-মাতার ভরপোষণ সংক্রান্ত আইনে উল্লিখিত অপরাধ জামিনযোগ্য ও আপসযোগ্য। বিলে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সন্তানের স্ত্রী বা স্বামী পিতামাতার ভরণপোষণ না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরোক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।
বিল অনুযায়ী তাদের ভরণপোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতাকে একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সন্তান তার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবেন না। প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাত করতে হবে। পিতামাতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে এবং মাতার অবর্তমানে নানা-নানীকে ভরণপোষণ করতে হবে।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু ২০০৯ সালে বাবা-মার ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে বিলটি আনেন। এরপর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কমিটির দ্বিতীয় রিপোর্ট হিসেবে বিলটি চূড়ান্ত করে সংসদে উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ