শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসরকার মানুষের সাথে অবিচার করছে : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

সরকার মানুষের সাথে অবিচার করছে : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে ২ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দিতে হবে। রমজানের শুরুতে দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারনে দেশের মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। আমরা সরকারকে বারবার বলেছি, দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারনে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। সরকার আমাদের কথা বিশ্বাস করেনা, এরচেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না। সরকারি দলের নেতারা বলছেন দ্রব্যমূল্য কমছে এবং মানুষের আয় বেড়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য দেখতে বাজারে যেতে হবে না, টিসিবির একটি ট্রাকের কাছে লাইন দেখুন। টিসিবির পণ্য শেষ হয়ে যায় কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয় না। অনেকে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরে যায়। সরকার মানুষের সাথে অবিচার করছে। তিনি বলেন, টিসিবি দিয়ে এই বাস্তবতা মোকাবিলায় করা সম্ভব হবে না। ৫ থেকে ৬ কোটি মানুষের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১কোটি রেশন কার্ড দেয়া হয়েছে। ১ কোটি মানুষ নাকি ১ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দেয়া হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে জাতীয় যুব সংহতির ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।
জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরি শাহিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষের জন্য সরকারের দরদ আছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার কাজ করছে তাদের দল ও নেতা-কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায়। তিনি বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। অথচ, অল্প কিছু টাকা ভর্তুকি দিয়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলে মানুষের কষ্ট দূর হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি মানুষের কষ্ট না বোঝে তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থে আন্দোলন করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, এড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিুরুল আলম রুবেল, নাজনীন সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, হুমায়ন খান, হাজী মোঃ ফারুক, মিজানুর রহমান মিজান, সম্পাদক মন্ডলি সদস্য সুলতান মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা, এড. মোঃ ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদক মন্ডলি সদস্য নজরুল ইসলাম, আব্দুস সত্তার গালিব, হেলাল উদ্দিন, সুজন দে, এম এ সোবাহান, আজহারুল ইসলাম সরকার, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মোঃ দ্বিন ইসলাম শেখ, মোঃ ইব্রাহিম আজাদ, মীর সামসুল আলম লিপ্টন, সদস্য আবু নাসের বাদল, শেখ মোঃ সরোয়ার, কাজী মামুন, শফিকুল ইসলাম দুলাল, জিয়াউর রহমান বিপুল, আলমগীর হোসেন, জি এম শহীদ, হুমায়ন কবির শাওন, মিয়া আলমগীর, আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান, এড. মোঃ আবু ওয়াহাব, হুমায়ন মজুমদার, মাহবুবুর রহমান খসরু, আরিফুল ইসলাম রুবেল,ইঞ্জি: এলাহান উদ্দিন, শামিম আরা সুলতানা রিমা সহ জাতীয় যুব সংহতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ