শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েঅনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আসবে খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম : খাদ্যমন্ত্রী

অনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আসবে খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সততায় পিছিয়ে নেই, প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতায়ও পিছিয়ে থাকবে না। অনলাইন ফুড স্টক এন্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে খাদ্য শষ্য সংগ্রহ,চলাচল,বিতরণ ও সংরক্ষণে স্বচ্ছতা,জবাবদিহী ও সুশাসন নিশ্চিত হবে । সহসাই অনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আসবে খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় সিরডাপ আন্তর্জাতিক মিলনায়তনে “অনলাইন ফুড স্টক এন্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকারিতা করোনাকালে প্রতীয়মান হয়েছে । ডিজিটাল পদ্ধতি থাকায় জনসাধারণের কাছে সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আপনাদের বলেছিলাম কাজের গুণগত মান ও সময়ক্ষেপণ যাতে না হয় সেদিকে সুদৃষ্টি রাখবেন। আজকেও একই কথা বলতে চাই আপনারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবেন। কাজের গুণগত মানের সাথে আমরা কোন আপস করবো না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডিজিটাল যুগে নিজেদের প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই সাথে সেবাদানের মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার্রস লি: এর সিনিয়র এ্যাডভাইজার সামিরা জুবেরি হিমিকা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাব ও অর্থ মো: মাহমুদ হাসান বক্তব্য রাখেন।
খাদ্য সচিব বলেন, সকল পর্যায়েই সুশাসন দরকার। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন আরো বেশি দরকার। খাদ্যের অভাব হলে সুশাসন বাধাগ্রস্ত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা তাই প্রকারান্তে জাতীয় নিরাপত্তার ভূমিকা পালন করে। এই প্রকল্প খাদ্য অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা আনবে।
দিনব্যাপী কর্মশালায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক,জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
উল্লেখ্য,বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লি: বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লি:, ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লি: এবং টেকভ্যালী নেটওয়ার্কস লি: জেভি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ২৬১.৭১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি হবে যা খাদ্য শষ্য সংগ্রহ,চলাচল,বিতরণ ও সংরক্ষণ কার্যক্রম মনিটরিং ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তণ আনবে। প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৫ শত জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যেম ১২ শ এর বেশি এলাকা(সিএসডি ও এলএসডি) যুক্ত করা হবে। ২৮ মাস মেয়াদি প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের অক্টোবরে শেষ হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ