শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপখালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে

খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ১২ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলে, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে নেওয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ফিরোজায় কিছু সময় থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

জানা গেছে, খালেদা জিয়া গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। এ জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এরআগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর ছয়দিন পরে ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে এক মাস পর গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর গত ১৯ জুন তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও খালেদা জিয়া আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক যে অবস্থা, তাতে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাসায় রেখেও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। এর জন্য তাকে এখন শুধু ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। একমাত্র বিদেশে নিলে এর ভালো চিকিৎসা সম্ভব। দেশে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে তাকে হাসপাতালে না রাখলেও চলবে। এ অবস্থায় তার জন্য হাসপাতাল ও বাসা একই। বরং বাসার নিজস্ব পরিবেশে তিনি মানসিকভাবে আরেকটু ভালো থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার, পরে উচ্চ আদালতে আরও পাঁচ বছর সাজা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসে চতুর্থবারের মতো মুক্তির সীমা বৃদ্ধি করেছে সরকার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ