শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপগর্ভপাতের স্বাধীনতা চেয়ে বিক্ষোভে উত্তাল লাতিন আমেরিকা

গর্ভপাতের স্বাধীনতা চেয়ে বিক্ষোভে উত্তাল লাতিন আমেরিকা

নিরাপদ ও আইনি গর্ভপাতের দাবিতে লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক নিরাপদ গর্ভপাত দিবস উপলক্ষে এ বিক্ষোভ করেন তারা। লাতিন আমেরিকার হাতেগোনা কয়েকটি অঞ্চলে সম্পূর্ণভাবে গর্ভপাতের অনুমোদন রয়েছে। বেশিরভাগ অঞ্চলে গর্ভপাত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, শাস্তি হিসেবে ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। মেক্সিকো সিটিতে নারীরা পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শহরটিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়। মেক্সিকোর কুয়েরনাভাকা ও ভেরাক্রুজসহ অন্যান্য অংশেও হাজার হাজার নারী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে।

এ মাসের শুরুতে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেন, গর্ভপাতকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক এবং এর কিছুক্ষণ পরেই সরকার বলেছিল যে গর্ভধারণ বন্ধের অভিযোগে যারা কারাবন্দি রয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি বছর লাতিন আমেরিকার হাজার হাজার নারী অনিরাপদ গর্ভপাতের ফলে মারা যান। অঞ্চলগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালীন গর্ভধারণ ও যৌন সহিংসতা অতিমাত্রায় বেড়েছে। অন্যদিকে কলম্বিয়ায় গর্ভপাতকে শুধু একটি ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদি ধর্ষণের ফলে কেউ গর্ভপাতের পথ বেছে নেয় তাহলে দেশটিতে কোনো আপত্তি নেই। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর জীবন ঝুঁকিতে থাকে। ২৮ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়ার বাগোতা শহরে ৮০০ নারী প্রতিবাদে অংশ নেন। একই দাবিতে চিলিতেও বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। চিলিতে হাউস অব কংগ্রেস একটি বিতর্ক শেষে গর্ভধারণের ১৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এল সালভাদোরের বহু নারী সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন এবং সান সালভাদোরের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের পথে দেশের ‘কঠোর’ গর্ভপাত আইন শিথিল করার দাবিতে মিছিল করেন।

বিক্ষোভে নারীরা ‘গর্ভপাত আমাদের অধিকার, আমাদের সিদ্ধান্ত’, ‘আইনি, নিরাপদ ও মুক্ত গর্ভপাত চাই’ সংবলিত ব্যানার প্রদর্শন করেন। সালভাদোরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকলে এই মাসের শুরুর দিকে গর্ভপাত আইনে সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২০টিরও বেশি লাতিন আমেরিকান দেশ এখনও গর্ভপাতকে সমর্থন করে না। যার মধ্যে রয়েছে এল সালভাদর। সেখানে কয়েকজন নারীকে গর্ভপাতের অভিযোগে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। লাতিন আমেরিকা বলতে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের এমন অঞ্চলগুলোকে বোঝায় যেখানকার জনগণ লাতিন ভাষা থেকে উদ্ভূত রোমান্স ভাষাসমূহে কথা বলে। রোমান্স ভাষা বলতে মূলত স্পেনীয় এবং পর্তুগিজ ভাষাকে বোঝায়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ২০টি দেশ এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি, মধ্য আমেরিকার ৬টি, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ৩টি ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ১টি দেশ রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ