রাজপথের পর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর বির্তকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে জাতীয় সংসদেও। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা বিষয়টির অবতারনা করে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনলে পাল্টা বক্তব্যে তা প্রমাণ করার দাবি জানান সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা। ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে জাতীয় আর্কাইভ অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ রহিতকরণ বিলের জনমত যাচাই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয়, বলে সরকার একটা প্রচারণা চালাতে চায়। কিন্তু তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা এটা জাতীয় আর্কাইভেও লেখা আছে। এ ধরনের বক্তব্য একপাঞ্জ করা উচিত।
বগুড়ার সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যোনে জিয়াউর রহমানের কবরে মরদেহ নেই, সেটা আপনারা কীভাবে জানলেন? আপনারা তো প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় নয়, এখন কেন এই সব কথা বলছেন? আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করি, শহীদ জিয়াউর রহমানকেও শ্রদ্ধা করি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এখন কেন এত কথা?
যতদিন পর্যন্ত দলীয় চশমা দিয়ে ইতিহাস দেখা হবে ততদিন পর্যন্ত কোনো লাভ হবে না। ৪০ বছর পর জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে বির্তক সরকারে সব ব্যর্থতা, ভোটচুরি, গণতন্ত্রহীনতা থেকে চোখ অন্য দিকে সরিয়ে নিতে বলেন তিনি। জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে রুমিন ফারহানাকে ইঙ্গিত করে বলেন, জন্মের পর কারো কারো মুখে মধু দিতে বোধহয় তার বাবা-মা ভুলে গেছেন। অন্তত একজন বক্তার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
তিনি বলেন, অসত্য, মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে যারা ইতিহাস রচনা করতে চান, তাদের সমস্যা। তারা বলছেন, ইতিহাস লিখতে শতবছর লাগে। তাহলে ৪০ বছর পর বির্তক হলে সমস্যা কোথায়। তিনি বিএনপিকে প্রস্তাব দেন, বিজ্ঞানভিত্তিক কমিটি করেন, আপনারাই করেন, প্রমাণ করেন সেখানে জিয়ার লাশ আছে। সমস্যা কোথায়? বিএনপি কেন এটাকে এড়িয়ে যেতে চায়?
এ সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পটোয়ারি বলেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। ইতিহাস শিক্ষা দেয়। ইতিহাস বিকৃতি বিএনপিও করে। বিএনপি দাবি করে, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, তিনি বেঁচে থাকতে কোনদিন এ দাবি করেননি। বিএনপিকে আগে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে। এরপর আওয়ামী লীগেক ইতহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে।