মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে :...

বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ভুর্তকি দিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করেন তাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। দেশে এখন অনেকে অর্থশালী-সম্পদশালী হয়ে গিয়েছেন, যারা বিল দেবেন ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। এটা মনে রাখতে হবে, আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তার খরচ কিন্তু অনেক বেশি। তিনি বলেন, গ্রাহকদের সেবা দেবার জন্য সেখানে ব্যাপকহারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের যেই খরচ সেই খরচটা কিন্তু আপনাকে বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। এবং অনেক কম টাকা বিল দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো যে, বিদ্যুৎ ব্যবহারটায় আপনারা একটু সচেতন হবেন। নিজের হাতে যখন কাজ থাকবে না আপনি বিদ্যুতের সুইচগুলো বন্ধ করে রাখেন। এতে বিলটাও কম আসবে, আপনাকেও টাকা কম দিতে হবে, আমাদের বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে। সেই বিষয়টা সবাইকে আমরা একটু অনুরোধ করব। সরকারপ্রধান বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় যদি আপনারা সাশ্রয়ী না হন তাহলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব? সেটা দেখতে হবে। সে জন্যই সবাইকে আমরা অনুরোধ করব বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে।

নিজেও প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি যখনই বের হই তখনই আমার যেখানে যেখানে মনে হয় বিদ্যুৎটা অপ্রয়োজনীয়, আমি আমার নিজের হাতে সুইচগুলো অফ করি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি গণভবন সরকারি। যতই চালাক, এখানকার যারা কাজ করে তাদের নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় বসবাস করি সেটুকু আমি আমার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি। অভ্যাসটা ঠিক রাখি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিরদিন তো কেউ আর প্রাইম মিনিস্টার থাকে না। এটা হয়তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপরে তো আর থাকব না। তখন তো আবার নিজের মতোই চলতে হবে। অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারাও যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন এটা মনে রাখবেন যে, এক এক ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিন্তু অনেক বেশি খরচ পড়ে, যা আমরা আপনাদের সবাইকে খুব অল্প খরচে দিয়ে থাকি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবাইকে বলব, মিতব্যয়ী হন, যা সাশ্রয় হবে সেটা হয়তো আরেকটা গরিব মানুষকে আমরা সহায়তা দিতে পারব এবং দেশ এগিয়ে যাবে।

কেউ টিকা থেকে বাদ যাবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা টিকা দিচ্ছি। টিকা ব্যাপকহারে দেব। টিকাতে কেউ বাদ যাবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং যত টাকা লাগে আমরা সেই স্বাস্থ্যসেবা মানুষকে দিচ্ছি এবং টিকার ব্যবস্থা করেছি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়ার পরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে ও লক্ষণ বোঝা যায় না। কাজেই আপনি হয়তো নিজে বুঝতে পারছেন না কিন্তু অন্যকে আপনি সংক্রমিত করে দিচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। সবসময় স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা একটু মেনে চলবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হল থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)’র চেয়ারম্যান এবং গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ