শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল চট্টগ্রাম

বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল চট্টগ্রাম

পটিয়া উপজেলার রাজনীতির উত্তাপ চট্টগ্রাম নগরে ছড়ানোর  অপচেষ্টা করলেও মাঠে দাঁড়াতে পারেনি হুইপ শামসুল হক চৌধুরী বিরোধীরা। অথচ তাদের ০৯ জুন নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে ‘মাঠ’ কাঁপানোর কথা ছিল। কিন্তু লোকের অভাবে তারা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এলাকায় ভিড়তেও পারেনি।FB_IMG_1623255523277

আর এসব কর্মসূচিকে একটি বিশেষ শিল্প গ্রুপের টাকার খেলা মন্তব্য করে একইদিন প্রেসক্লাবের সামনে হুইপ শাসসুল হক চৌধুরীকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ পটিয়া উপজেলার নেতারা। কিন্তু প্রেসক্লাবের সামনে অনুমতি না পেলেও জামালখান মোড়েই সমাবেশ করেছে তারা।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত’ হওয়ার অভিযোগ এনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ করার কথা থাকলেও শেষমেশ পুলিশের অনুমতি পায়নি এই সংগঠনটি। বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদ নামে এমন সংগঠন নাম শোনা যায়নি অতীতে। সংগঠনটির অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মুক্তিযোদ্ধারা।

 বসুন্ধরা শিল্প গ্রুপের টাকার খেয়ে হুইপের বিরোধে ক্ষোভ ঝাড়ানোর চেষ্টা করেছে শ’খানেক লোক ভাড়া এনে ।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে এসএস খালেদ সড়কের রীমা কমিউনিটি সেন্টার হয়ে জামালখান মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকা দখলে ছিল হুইপের অনুসারী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ পটিয়া নেতাকর্মীদের। তারা হুইপের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। তবে ওই কর্মসূচিতে হাজার হাজার লোক সমাগমন হওয়ায় এটি সমাবেশে পরিণত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৬০ জন উঠতি বয়সের তরুণ নিয়ে লাভলেইন মোড় থেকে ১৫-২০টি ফেস্টুন হাতে নিয়ে থেমে থেমে হুইপ বিরোধী শ্লোগান দিয়ে চলে যায় তারা ওয়াসার মোড়ে। মিছিলের মধ্যে একটি রিক্সায় ছিল আরও ২০/২৫ টি ফেস্টুন। দৃশ্যটি দেখে অনুমান করা যায়, লোকের অভাবে ফেস্টুনগুলো এভাবেই রিক্সায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মিছিলে থাকা এক তরুণ জানান, টাকা দিয়েও তারা কাঙ্খিত লোক সমাগমন করতে পারেনি। ফেস্টুন হাতে নেওয়ার লোকও পাওয়া যায়নি। পুলিশের তাড়া খেয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি চেরাগী মোড় থেকে শুরু হয়ে কাজীর দেউরি গিয়ে শেষ হয়।

অপরদিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি না পেয়ে এসএস খালেদ সড়কে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তবে বেলা বাড়তেই কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়। এতে বিস্তৃত বেড়ে জামালখান মোড় এলাকা দখলে যায় হুইপের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদকারীদের।

জানা যায়, ৯ জুন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মূলত দুই পক্ষ ডাক দিয়েছে সমাবেশ ও মানববন্ধনের। এতে বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)। সংঘাতের আশংকার কথা বিবেচনায় কাউকে সমাবেশ ও মানববন্ধন করতে না দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ অনড় থাকে।

জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে ‘ঠেকাতে’ এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্চিত করার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া এমন অভিযোগকে কাল্পনিক বলে মন্তব্য করে অপপ্রচার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের ডাক দেয় দুটি সংগঠন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ