শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিন৮৭৮ টন পেঁয়াজসহ ৫২ লট পণ্য নিলামে তুলে বিক্রি করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস

৮৭৮ টন পেঁয়াজসহ ৫২ লট পণ্য নিলামে তুলে বিক্রি করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস

প্রায় ৮৭৮ টন পেঁয়াজ নিলামে বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে দেশে সিংহভাগ রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চলতি বছরের তৃতীয় এই নিলামের মোট ৫২টি লটের মধ্যে ৫টিতে রয়েছে প্রায় ৮৭৮ টন পেঁয়াজ। যার বেশিরভাগই তুরস্ক থেকে আমদানি করা। বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ খালাস না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী নিলামে তুলে বিক্রি করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

এছাড়াও নিলামের ৩টি লটে মোট ৫ হাজার ২৯৯ কার্টনে আছে জাপানে তৈরি প্রায় সাড়ে ২৮ টন শিশুদের ডায়পার। অন্যান্য লটগুলোতে আছে পলেস্টার, নিট ও রেয়ন ফেব্রিক, স্টিল ফার্নিচার, পারফিউমের খালি জার, ড্রাইসেল ও পেনসিল ব্যাটারি, গুড়াদুধ, হিমায়িত মাছ, মাল্টা ফল, প্রসাধনী, হ্যাঙ্গার, পাইপ মেশিন, আর্ট কার্ড, মেলথল ও বিভিন্ন কেমিক্যাল।

কাস্টমস সূত্র জানায়, নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৮ ফেব্রুয়ারি নিলামের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর ত্রিশ মিনিট পর দুপুর আড়াইটায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে।

নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ পাওয়া যাবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়, ৩০৬, স্ট্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট, চট্টগ্রাম এবং বন্দর স্টেডিয়াম’র বিপরীতে কাস্টম অকশন শেড থেকে। এছাড়া ঢাকার দরদাতারা ৮০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানা থেকেও ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। জমা দেওয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরেও দরপত্র জমা দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গতঃ দেশের সিংগভাগ রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নিয়মিত নিলাম পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করছে। প্রায় প্রতি মাসে অন্তত দুটি এমনকি কোন মাসে তিনটি নিলামও পরিচালনা করছে। গত পাঁচ বছরে বন্দরে বাজেয়াপ্ত পণের নিলাম হয়েছে ৬৪টি। যার মধ্যে লট ছিল ১০ হাজার ১৬০টি। ওই পণ্য নিলামে বিক্রি করে ২৬৫ কোটি ৬১ লাখ ২৬ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা আয় করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

নিলাম প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে নিলামের প্রচুর কাজ চলছে। কাজের গতি আনতে শনিবারেও কাস্টমসে বিভিন্ন শাখার ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে ৬ থেকে ৮টি গ্রুপে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিলামযোগ্য পণ্যে ইনভেন্ট্রি তৈরি করা হচ্ছে। যার ফরে প্রতিনিয়ত নিলামে লটের সংখ্যা বাড়ছে। নিলামে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে রাজস্বও বেশি আয় হচ্ছে। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা কনটেইনারে দখলকৃত জায়গা মুক্ত হচ্ছে। সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কে এম কর্পোরেশন নিলামের কাজে চট্টগ্রাম কাস্টমসকে প্রচুর সহযোগিতা করছে বলে জানান সহকারী কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ