বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণের পাশাপাশি বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ মন্তব্য করেন। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে টাকা সরাসরি যাবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ শুরু করলেও জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতাগ্রহণকারীরা সব চেতনা নস্যাৎ করেছিল। শুধু তাই নয় মানুষের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকারও কেড়ে নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নেন। সেই সঙ্গে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তাদের কল্যাণের জন্যই তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গড়ে তুলেছিলেন। এর উদ্দেশ্য হলো- আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, বিধবাদের পুনর্বাসনসহ সবাইকে পুনর্বাসনের জন্য, নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করা। এ সমস্ত কাজগুলো তিনি একে একে করে যাচ্ছিলেন কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে। মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন সেই ব্যবস্থাই তিনি করে যাচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্য ৭৫ এর পরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সেভাবে কার্যক্রমগুলো আর করেনি। ২১ বছর পর যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই একটা উদ্যোগ নেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার। সেই সাথে যারা দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা তাদের কিছু সহযোগিতার ব্যবস্থাও আমরা করি, ভাতার ব্যবস্থা করে দিই। আর যারা খেতাবপ্রাপ্ত তাদের জন্যও আমরা ভাতার ব্যবস্থা করি। সেই ভাতা যখন থেকে চালু করি তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মাসিক ৩০০ টাকা আমরা চালু করেছিলাম। আজকে তা ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

‘আমি মনে করি এই সময় ১২ হাজার টাকা কিছু না। আমি ইতোমধ্যে কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ডের মিটিং ছিল, এতগুলো ভাগ ভাগ না করে আমার মনে হয় নীচের যেগুলো ভাগ আছে সেগুলো এক জায়গায় করে নিয়ে এসেছে আমরা ২০ হাজার টাকা করেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা করে দেবো। তবে আজকের যে ভাতাটা অনলাইনে যাবে যেটা আমরা পেয়েছি সেভাবেই যাবে। এটা একটু করতে সময় লাগবে, কারণ বাজেটে টাকা বরাদ্দ করতে সময় লাগবে। তবে এটা আমরা করে দেবো। আমরা সেভাবে এস্টিমেটও করেছি যে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা, তার পরে যারা আছেন ১২ হাজার টাকা করে পান, কেউ ১৫ হাজার, কেউ ২০ হাজার সেটা না পেয়ে সবাই ২০ হাজার টাকা করেই পাবেন। যারা বীরশ্রেষ্ঠ তাদেরটা একটু আলাদাভাবে পাবেন, তাদের আলাদা আছে। বাকি আমি মনে করি সবাইকে এক সাথে করে দেওয়াটাই ভালো। কারণ সবাই তো মুক্তিযুদ্ধই করেছে। এত ভাগ ভাগ না করে এটাকে এক জায়গায় নিয়ে এসে মন্ত্রণালয় বসে ঠিক করে নেবে। বিশেষ করে ১৫ হাজার আর ১২ হাজার সব মিলিয়ে ২০ হাজারে নিয়ে আসলে তখন সবাই ২০ হাজার টাকা করে ভবিষ্যতে পাবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিগগিরই এই ভাতা ১২-২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করে থাকবে, আমি থাকা অবস্থায় এটা হতে পারে না। গণভবন থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বোর্ডের অন্য সদস্যরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ