শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েসম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় মাসব্যাপী উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।

সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় মাসব্যাপী উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করলো ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।

গত ১৫ জানুয়ারি  ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ইউএসএআইডি -এর Strengthening Political Landscape (SPL) প্রকল্প কারণ বাংলাদেশ আমার ওয়েবসাইট ও কারণ বাংলাদেশ আমার ফেইসবুক প্ল্যাটফরমে মাসব্যাপী আয়োজিত সম্প্রীতি উৎসব শীর্ষক অনলাইন উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।  সহাবস্থান ও ঐক্যের সম্মিলনে সম্প্রীতি চর্চাকে প্রসারিত করার প্রয়াসে বিজয়ের ৫০ বছরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক, বিশেষত তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সহনশীলতা, সামাজিক, জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রীতি, গণতান্ত্রিক ঐক্য ও পরমতসহিষ্ণুতার মূল্যবোধ সুসংহত করতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর সম্প্রীতি উৎসবের সূচনা  হয়। এই উৎসবের আওতায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ  প্রতিপাদ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, কবিতা লিখন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় সাড়া দেশ থেকে ৫০০ এর বেশি প্রতিযোগী সাড়া দেন।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল দেশে ইতিবাচক ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে ২০১২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।  এরই ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী তরুণ ও শিশু কিশোরদের মধ্যে রাজনৈতিক সহনশীলতা, সামাজিক, জাতিগত, ধর্মীয় সম্প্রীতি, গণতান্ত্রিক চেতনা ও পরমতসহিষ্ণুতা্র মূল্যবোধ শক্তিশালী করতে সম্প্রীতি উৎসবের আয়োজন করে ডিআই। একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের হাজার বছরের সম্প্রীতি ও সহনশীলতার সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুন করে উজ্জীবিত  করতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

সম্প্রীতি উৎসব সমাপনী  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; সেলিমা রহমান, সদস্য, স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল; ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী,  প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় পার্টি; স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মী  লাকি এনাম, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী; র‍্যানডল অলসন, ডিরেক্টর, অফিস অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস এন্ড গভরন্যান্স।

অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ ও সক্রিয় নাগরিকদের সংযুক্ত করার প্রয়াসে আরও অনুপ্রেরণাধর্মী  গল্প তৈরিতে এই উৎসবের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত আবৃত্তি শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শারমিন লাকি কবিতা লিখন প্রতিযোগিতায় সেরা প্রতিযোগীর কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন  গীতিকার, সুরকার জয় শাহরিয়ার সংগীত।

কারণ বাংলাদেশ আমার ফেইসবুক পেইজে সকল বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা ১০ প্রতিযোগীকে সম্প্রীতি উৎসবের আকর্ষণীয় ক্রেস্ট, বাঁধাই করা সার্টিফিকেট ও সুভ্যেনির যথার্থ ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হবে। চিত্রাঙ্কন ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কারপ্রাপ্ত আঁকা ছবি ও আলোকচিত্র বাঁধাই করে তাঁদের ঠিকানায় যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজয়ীদের তালিকা নিম্নে প্রকাশ করা হলঃ

  • শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা (গ্রুপ )  জান্নাতুল মাওয়া ঐশী  (চ্যাম্পিয়ন); উৎস দত্ত (প্রথম রানার আপ); সুহানা হাবিব সুহা (দ্বিতীয় রানার আপ)
  • শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা (গ্রুপ বি) রাফাত হোসাইন   (চ্যাম্পিয়ন); আনিশা সান্তনি (প্রথম রানার আপ); সুমাইয়া রহমান রিয়া (দ্বিতীয় রানার আপ)
  • আলোকচিত্র প্রতিযোগিতাঃ সুলতান আহমেদ নিলয় (চ্যাম্পিয়ন); সাবিনা ইয়াসমিন (প্রথম রানার আপ); সাইফুল আমিন কাজল (দ্বিতীয় রানার আপ)
  • স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতাঃ জুবায়ের তুহিন (চ্যাম্পিয়ন); মোঃ আবিদ মল্লিক (প্রথম রানার আপ); সানি মাহফুজ (দ্বিতীয় রানার আপ)
  • কবিতা লিখন প্রতিযোগিতাঃ শ্রেয়সী স্রোতস্বিনী (চ্যাম্পিয়ন); কানিজ ফাতেমা রুমি  (প্রথম রানার আপ); আশরাফুল আলম (দ্বিতীয় রানার আপ)

সম্প্রীতি উৎসব প্রতিযোগিতার ফলাফল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের  “কারণ বাংলাদেশ আমার” ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/karonbangladeshamar)। সম্প্রীতি উৎসব ইউএসএআইডি ও ইউকেএইড এর যৌথ অর্থায়নে  ‘Strengthening Political Landscape’  প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত হয়েছে।

ইউএসএআইডি সম্পর্কে: ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার  ইউএসএআইডি – এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাতশ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে ।  ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে ২০ কোটিরও বেশি ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে – গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।

ইউকেএইড সম্পর্কে: যুক্তরাজ্য বিভিন্ন দেশে সুনির্দিষ্ঠ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান এবং গণতন্ত্র সহায়ক আন্তর্জাতিক পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখার মাধ্যমে সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে। তারা বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের (ইইউ, এএইড, ওএসসিই, দি কাউন্সিল অব ইউরোপ এন্ড দি কমনওয়েলথ) গণতন্ত্র বিষয়ক কাজকে বেগবান করতে ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ