শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপট্রাম্পপন্থীরা তাদের দেশের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীকে আঘাত করেছে : ড. শাম্মী...

ট্রাম্পপন্থীরা তাদের দেশের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীকে আঘাত করেছে : ড. শাম্মী আহমেদ

প্রথমত এটা হলো আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আমরা দেখছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের কথা যারা বলে সেখানেও কট্টরপন্থীদের উন্মত্ততা আছে। আমরা দেখছি পৃথিবীজুড়ে সব দেশেই সহিংস প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা কখনোই কারো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাই না। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেকেই আমাদের ক্ষেত্রে এটা করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমরা আশা করছি সেখানকার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর জন্য শুভ কামনা জানাই। আর যারা সহিংসতা চালিয়েছে নিশ্চয়ই তাদের বিচার হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি।

ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো—কোনো দেশেই পারফেক্ট ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিভিন্ন দেশে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সে দেশের আইন অনুযায়ী এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক কাঠামো, অবস্থান, আইন অনুযায়ী এগুলো মোকাবেলা করা হয়।

পৃথিবীর সব দেশেই কট্টরপন্থীরা তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। আমাদের সমাজেও বিএনপি-জামায়াত কট্টরপন্থী এক শক্তি। তারাও বিভিন্ন সময় সহিংসতা চালিয়েছে। আসলে পৃথিবীজুড়েই কট্টরপন্থীদের চরিত্র এক। এদের মোকাবেলা করা সুস্থ ধারার রাজনীতি যারা করে তাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই এই চ্যালেঞ্জ কম-বেশি মোকাবেলা করতে হয়। কট্টরপন্থীদের মোকাবেলা করতে পারাটা যেকোনো দেশের জন্যই একটা সাফল্য। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কট্টরপন্থী যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে দেখিয়েছেন সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেও দেশটাকে এগিয়ে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য যে আমাদের দেশের সংসদের আশপাশে এমন বড় ঘটনা ঘটাতে পারেনি সহিংসতাকারীরা।FA1BBF31-B5D3-4BC8-BF5E-72C915EB4D50

ট্রাম্পপন্থীরা তাদের দেশের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীকে আঘাত করেছে। এটা সমগ্র বিশ্বকেই নতুন করে ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

একটি দেশে যাই ঘটুক না কেন, তা সংবিধান বা আইনের মধ্যেই হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কোনো কিছু সমাধান হবে না। আপনি উচ্ছৃঙ্খলতা করতে পারেন। কিন্তু এটা সাময়িক। একটি দেশ তার আইন অনুসারেই চলে। যখনই কোনো বড় উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটে তখন তার সমাধানে রাষ্ট্রকে দৃঢ়তার সঙ্গে আইনের প্রয়োগ করতে হয়। এটা আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও দেখতে পাচ্ছি।

যাই হোক, আমেরিকার মতো একটি বড় দেশে ক্ষমতা পরিবর্তন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হোক এই কামনা করছি। আর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য শুভ কামনা।

লেখক : আন্তর্জাতিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ