মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপভ্যাকসিনে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে : দোরাইস্বামী

ভ্যাকসিনে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে : দোরাইস্বামী

ভারত থেকে ভ্যাকসিন রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ০৭ জানুয়ারি সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়ন ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। হাইকমিশনার বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু-প্রতীম দেশ”। ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করার জন্য বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভূমিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন। Land Ministry_1

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ মন্ত্রণালয়— কেউই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেনি। আমরা বারবার বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— আমাদের ভ্যাকসিন মানবতার জন্য ব্যবহৃত হবে, আমাদের অগ্রাধিকার— ভারত, আমাদের নিজের লোকেরা, স্পষ্টতই আমাদের প্রতিবেশী লোকেরা। এর বাইরে আর কী আশ্বাস আমরা দিতে পারি?

দোরাইস্বামী আরও বলেন, একাধিক সংস্থা ভ্যাকসিন উত্পাদন করছে, ভ্যাকসিন উত্পাদন প্রক্রিয়াটি এখনই শুরু হয়েছে। জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, হাজার ডোজ বিতরণের জন্য প্রস্তুত— এমন বলা যাবে না। এটি একটি সংবেদনশীল পণ্য, স্টক তো রাখা যাবে না। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রফতানির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়নি। সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টিকা তৈরি করে ভারত সরকারকে দেবে এবং তাদের উত্পাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কাজে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, এমন প্রক্রিয়া থাকবে যা আমরা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত লোকদের চিহ্নিত করব, আপনি অগ্রাধিকারের লোকদের শনাক্ত করবেন। প্রত্যেকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন চায়। কখন আসবে বা আমরা আমাদের দেশে পাব তা আমি বলতে পারি না। অগ্রাধিকার নির্দেশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশ সরবরাহ পেতে পারে।

দোরাইস্বামী আরও বলেন, ভারত সরকার যাদের টিকা দিতে অঙ্গীকার করেছে তারা সবাই পাবে। প্রথম পর্যায়ে ভারতে কারা টিকা পাবে তা আমরা আর বাংলাদেশে কারা পাবে তা আপনারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঠিক করবেন।

বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভূমিমন্ত্রী তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সাথে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির চমৎকার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন। এসময় ভূমিমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও বিশ্ব অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজটালাইজেশন নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের রিফর্মগুলো জানতে চেয়েছেন। ভারত অনেক আগে এ ধরনের রিফর্মে হাত দিয়েছে। ডিজটালাইজেশনের মডেল আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারের এলাকা বেঙ্গোলোরে দেখেছি। কীভাবে আরো সহযোগিতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ভূমিমন্ত্রীর সাথে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মাসুদ করিম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ