বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ির মোড়ক উন্মোচন

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ির মোড়ক উন্মোচন

মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত ভারতের বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।  ঘড়িগুলোর ডায়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং স্বাক্ষর। যা তাঁর বার্তার নিরবচ্ছিন্নতা এবং তাঁর চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতার প্রতিনিধিত্ব করে। ১৭ নভেম্বর সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃক বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এসময় জাতির পিতার ছবি সংবলিত দু’টি হাতঘড়ি উপহার হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের হাতে তুলে দেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

হাতঘড়ি উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতির পিতা আর ভারতীয় জনগণের কাছে বীর। একজন সর্বকালের মহান নেতা, যিনি বাংলাদেশের মতো ভারতেও বীর হিসেবে সম্মানিত। এটাই স্বাভাবিক যে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতীয় জনগণ বঙ্গবন্ধুকে যে উষ্ণতা ও ভালবাসা দেখিয়েছিলেন, তেমনিভাবে তারা মুজিবর্বষও উদযাপন করতে চান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিবর্বষ উদযাপনের সূচনাকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সাহসী নেতা হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে বঙ্গবন্ধুর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণার।

হাইকমিশনার বলেন, ভারতের বহুজাতিক টাটা গ্রুপের বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাইটান ভারতীয় হাইকমিশনের জন্য বিশেষ সংস্করণের ঘড়িগুলো তৈরি করেছে। চমৎকার ঘড়িগুলো মুজিববর্ষ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে। তাঁর প্রতি বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনের বিনশ্র শ্রদ্ধার নিদর্শন এ ঘড়ি। ঘড়িগুলো এ মহান ব্যক্তির স্বপ্নকে অনুধাবন করতে আমাদের সবার ভেতরকার বীরকে অনুপ্রাণিত করবে। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষভাবে তৈরি ঘড়িগুলোর ডায়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং স্বাক্ষর। আপনারা জানেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কিন্তু করোনার জন্ জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কর্মসূচিগুলো পুনর্বিন্যাস করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তের রাখি বন্ধনে আবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কাজেই আমাদের সম্পর্কটা অত্যন্ত নিবিড়। আমরা এজন্য ভারত সরকার ও জনগণকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আমাদের সম্পর্কের আলোক শিখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিতে এসে আরও প্রমাণিত। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও ভবিষ্যৎমুখী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ