বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের তো নমিনেশন পেলেই হয়ে গেল, আর তো কিছু দরকার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তো এখন পোয়া বারো। নির্বাচন করতে হলে আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর চেয়ে বড় বিষয় দরকার তাদেরকে ঠেকানো। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ আজকে গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে চলছে। এই অবস্থা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত চলে গেছে। সরকারের প্রণোদনা কিছুই নেই ৯০% ই লোন। অর্থাৎ লোনটাকে শোধ করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে ধোঁকাবাজি চলছে, দুর্নীতি এখন সার্বজনীন হয়ে গেছে। এখন মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, এই মেঘা প্রকল্পে যে করাপশন হচ্ছে সেট কল্পনার বাইরে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একজন ড্রাইভার শত শত কোট টাকার মালিক, বাড়ি-ঘর এ গুলো কি ভাবে এসেছে। নতুন বাজেটে যে কর বসিয়েছে, ট্যাক্স বসিয়েছে, ভ্যাটের যে ব্যবস্থাটা রেখেছে। যখন রাজতন্ত্র ছিল তখন সাধারণ মানুষদের কাছ অন্যায় অত্যাচার করে খাজনা আদায় করতো, জমিদারি ব্যবস্থায় যেভাবে জোর করে ধরে নিয়ে চাবুক মেয়ে খাজনা আদায় করতো সরকার আজ তাই করছে। সরকার যতই বলুক না কেন গার্মেন্ট সেক্টরের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। রেমিটেন্টস কমেছে। এ জায়গায় ধুমরো সৃষ্টি করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। সেই প্রচারণা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সভাপতি/সম্পাদক হওয়ার জন্য ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয় করছে। কেন করছে? এর মধ্যে কি আছে?
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, এড. জয়নাল আবেদীন, এড. আশিকুর রহমানসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
