শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও অভিমত দিয়েছেন...

ডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও অভিমত দিয়েছেন আদালত

ফরমাল রিকুইজিশন ও গ্রাহককে অবহিতকরণ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি থেকে কললিস্ট বা কল রেকর্ড সংগ্রহ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও অভিমত দিয়েছেন আদালত। ২৯ সেপ্টেম্বর শিশু সৈকত হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে আদালত এ মতামত তুলে ধরেন। এর আগে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায়ে সাক্ষর করেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সৈকতকে (৭) হত্যার ঘটনায় তার পিতা মো. সিদ্দিকুর রহমান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর এই মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এছাড়া পলাতক আসামি সবুজ মিয়া ও তাপস সাহাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। তবে মামলার আরেক আসামি আনিছ মিয়া শিশু হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেন একই আদালত।

এদিকে, আইনানুযায়ী শিশুর অপরাধের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে পারে কিনা, এ নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হলে হাইকোর্ট বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। ওই বেঞ্চে মামলাটির শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট শিশু সৈকতকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতিদের সাক্ষরের পর রায়টির লিখিত অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ