বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ব্যয় বাড়ানোসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ব্যয় বাড়ানোসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ব্যয় বাড়ানোসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রাপ্ত ঋণ সহায়তা ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৭০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল গত বছরের (২০১৯) ডিসেম্বরে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়নি। এখন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি মাত্র ৫৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় ফের প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে দুই বছর মেয়াদ বাড়ছে।

ভূমি অধিগ্রহণ, সাফারি পার্কের বাইরের চারদিকে মেটাল অ্যাপ্রোচ রোড ৭ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৫ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটারে আনা হয়েছে। ৫ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার মেটাল অ্যাপ্রোচ রোড প্রশস্তকরণে ২০ কোটি টাকা প্রয়োজন, এছাড়া দুইটি সেতু নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এসব কারণে ব্যয় বাড়ছে। বর্তমান অবস্থায় অবকাঠামোগত নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রমসহ ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করতে অতিরিক্ত দু’বছর সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছচাষ প্রদর্শনী করা হবে। ১১০টি ধানক্ষেতে মাছচাষ প্রদর্শনী ও ৩৯১টি পেনে মাছচাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর।

এছাড়া একনেক সভায় ‘আরবান রেজিলিয়েন্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্ৰী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ