মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েকোন বাসা-বাড়ি থেকে মাসিক ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে নাঃ...

কোন বাসা-বাড়ি থেকে মাসিক ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে নাঃ মেয়র তাপসের নির্দেশনা

বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কোন বাসা-বাড়ি থেকে মাসিক ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না বলে প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারীদেরকে (পিসিএসপি) নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ (সোমবার) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে “পিসিএসপি’র কাজের বিষয়ে মুক্ত আলোচনা” এ অংশ নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নির্দেশনা দেন। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট হারে আমরা মাসিক চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছি। কোথাও এই হারে ব্যত্যয় করা যাবে না। কোন পিসিএসপি কোন বাসা-বাড়ি থেকে ১০০ টাকার বেশি চার্জ আদায় করতে পারবেন না।
ঢাকাবাসী একটি বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলায় অভ্যস্ত উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসময় বলেন, কিন্তু ঢাকা একটি রাজধানী। রাজধানীর শহর হিসেবে এটার মর্যাদা ও সম্মানকে অনুধাবন করতে হবে। তার জন্য এই নিয়মাবলীকে (নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সূচি আমরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্ধারণ করেছি। শুরুতে অনেকেই এই সূচি যথাযথভাবে পরিপালন করতে চাইবে না। কিন্তু আপনাদেরকে আমাদের যথাযথভাবে আমাদের এই সূচি পালন করতে হবে এবং জনগণকেও সে সূচি পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে ও পালন করা হবে।
পিসিএসপিদেরকে বর্ধিত হারে বিনিয়োগ ও জনবল নিয়োগ করার নির্দেশনা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, কোথাও কোথাও এখনো দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মানে হলো, আপনারা একাজে এখনো যথাযথভাবে বিনিয়োগ করেননি। আমাদের সূচির বাইরে কিছুই করা যাবে না। তাই এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য আপনারা আরও বেশি জনবল নিয়োগ করুন এবং বেশি বিনিয়োগ করুন। তাহলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আপনারাও অধিক লাভবান হবেন।
২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, আমরা নতুন যেসব এসটিএস নির্মাণ করছি, সেগুলো আগের চাইতে বড় পরিসরে নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে করে অদূর ভবিষ্যতেও আমাদের নতুন করে এসটিএস নির্মাণ করতে না হয়।
এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলরদেরকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ কর্পোরেশনের সকল কার্যক্রমে তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আশাবাদ ব্যক্ত করেন আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে পুরোপুরি সুস্থ ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০২২ সালে ঢাকা শহরকে কেউ আর বর্জ্যের শহর বলতে পারবে না। সেজন্য আগামি দিনগুলোতেও আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিনের সঞ্চালনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এ সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত পিসিএসপি প্রতিনিধিবৃন্দ নতুন ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনায় নানা ধরণের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ