বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়দুঃসময়ে রেকর্ড পদোন্নতি দিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়ালো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

দুঃসময়ে রেকর্ড পদোন্নতি দিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়ালো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

করোনা মহামারীতে মৃত্যুভীতি ছিল সর্বত্র। তারপরও ভয়কে উপেক্ষা করে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিয়েছেন ব্যাংক কর্মীরা। হাজার হাজার ব্যাংক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন এমন সংখ্যাও কম নয়। একদিকে জীবন সংশয়, অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয়- এ দুই নিয়েই উদ্বেগে সময় কাটছে ব্যাংকারদের। তবে এর মধ্যেও রেকর্ড ৫৫০ জনকে পদোন্নতি দিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড। বেসরকারি এ ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহী খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনায় সৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগ সামলাতে অনেক ব্যাংকই কর্মীদের বেতন ১০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। কর্মীদের বেতন-ভাতা কমানো, পদোন্নতি বন্ধসহ ডজন খানেক কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি)। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তাদের এ সংগঠনটির নির্দেশনা অনুযায়ি অনেক ব্যাংকই কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যাংকে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। তার মধ্যেই স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের রেকর্ড পদোন্নতির খবর এলো।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রাশেদ মাকসুদ নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটিয়েছেন। ফুসফুসের সংক্রমনসহ গুরুতর অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতালের বেডে বসেই তিনি কর্মীদের পদোন্নতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বলে বণিক বার্তাকে জানান।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, মহামারীতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ব্যাংকাররা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। এ অবস্থায় কর্মীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যই পদোন্নতি দেয়ার দরকার ছিল। সবদিক বিবেচনায় রেখেই আমরা ৫৫০ জন কর্মীকে পদোন্নতি দিয়েছি। ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের আন্তরিক সহযোগিতায়  এটি সম্ভব হয়েছে। মহামারীর এ সময়ে কাজটি কষ্টকর হলেও আমাদের মানবসম্পদ বিভাগ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গত দুই সপ্তাহ আমার নিজের শরীরের উপর দিয়েও ঝড় বয়ে গেছে। আপাতত হাসপাতাল থেকে ছাড় পেলেও চিকিৎসকরা এক মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ