করোনা সংক্রমণে দেশে ফিরে আসা শ্রমিকদের মানবিক সহযোগিতা দিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন না থাকায় জনশক্তি রপ্তানির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আর পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সহযোগিতা দিতে পারছে না জেলা প্রশাসনও। এ অবস্থায় দেশে আটকা পড়া কয়েক লাখ প্রবাসী শ্রমিককে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে প্রতিদিনই বিশেষ বিমানে করে ফিরে আসছেন শ্রমিকেরা। গত চার মাস ধরে প্রতিদিনই এই হার বেড়েই চলেছে। কিন্তু হওয়ার কথা ছিলো উল্টো। বছরের এই সময়ে কাজের সূত্রে শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়ার হার বাড়ার কথা। সব কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছে করোনা মহামারি। চট্টগ্রামের পপুলার ট্রাভেলর্স মালিক সৈয়দ ইকবাল হোসাইন বলেন, সরকারের উচিত এই প্রবাসী শ্রমিকদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।
গত ৯ মাস ধরে কর্মহীন। তার ওপর কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার পথও বন্ধ। এই অবস্থায় দ্বারে দ্বারে হাত পেতে চলতে হচ্ছে এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। তাই মানবিক সহযোগিতা পাওয়ার আশায় প্রতিদিন সকালেই ভিড় করছেন জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে। একজন বলেন, ‘আজ দেশে আসছি প্রায় ৬ মাস হইছে। অর্থকড়ি যা ছিলো শেষ। দেশে ফিরে আসা এসব প্রবাসী শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা দিতে দেড় মাস আগেই মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখনো সে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, সুযোগ যদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয় তাহলে প্রবাসীদের সেই সুযোগ সুবিধা দিতে পারবো। চট্টগ্রাম শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি কার্যালয়ের উপ পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরকার প্রবাসীদের সহায়তায় যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার নীতিমালা আর বরাদ্দ না থাকায় আমরা একটা জটিলতায় রয়েছি। ১৭৩টি দেশের সাথে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত চুক্তি থাকলেও ৮০ শতাংশ শ্রমিকই যান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। আর চট্টগ্রাম থেকে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৪৫ হাজার শ্রমিক বিদেশ যান।