শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন : প্রধানমন্ত্রী

শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন : প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বহুমুখী প্রতিভা ও মেধার অধিকারী এই ক্ষণজন্মা ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ছিলেন সরব। দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে এগিয়ে নিতে তাঁর স্বপ্নও ছিল আকাশছোঁয়া। শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁর বড় বোন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন বলেই, ১৫ আগস্টের ঘটনার বিচার করতে পেরেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল। ১৯৪৯ সালের এই দিনে বঙ্গমাতার কোলে জন্মেছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর এই গুণীজন।

মাত্র ২৬ বছর বেঁচে ছিলেন তুখোড় মেধাবী এই ক্ষণজন্মা। একাধারে তিনি যেমন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, তেমনি দেশের ক্রীড়াঙ্গণ, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও যথেষ্ঠ সরব ছিলেন রাজনীতির মাঠেও। টগবগে এই তরুণ যখন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গড়ার নতুন যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই তাকে ১৫ আগষ্ট ঘাতকের বুলেটে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সন্তান বেঁচে থাকলে ৭১ বছরে পা রাখতেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে। এতে সংযুক্ত বিশিষ্টজনরা শেখ কামালের অবদান স্বীকার করে স্মৃতিচারণ করেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, সম্ভাবনাময় এই তরুণের শূন্যতা কোনোদিনই পূরণ হবার নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে ছোটবেলাতেই অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কামাল আজকে নেই কিন্তু তার চিন্তা-ভাবনাগুলো রয়েছে। ক্রীড়া, সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই দায়িত্বশীল কামালের স্মৃতিচারণ করে বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় না এলে হয়তো বিচারই হতো না ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের। পরে, অনলাইনে সংযুক্ত আলোচকদের নিয়ে শেখ কামালসহ ৭৫’এর দুঃসহ রাতে প্রাণ হারানো পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য মোনাজাত করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ