শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদটপকরোনায় বিশ্ব মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি: ডব্লিউএইচও

করোনায় বিশ্ব মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, সংস্থাটি এখন পর্যন্ত যতোগুলো ব্যাধির ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে তার মধ্যে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে গুরুতর। এর আগে ইবোলা প্রাদুর্ভাব নিয়ে দুইবার, জিকা, পোলিও এবং সোয়াইন ফ্লু নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল সংস্থাটি। আগামী ৩০ জুলাই মহামারি করোনা ভাইরাস ‘আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্য জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ এ ঘোষণা দেওয়ার ছয় মাস পূর্ণ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ বিবেচনা করে ‘আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্য জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে।

২৭ জুলাই রাতে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস সাংবাদিকদের বলেন, ষষ্ঠবারের মতো করোনা ভাইরাসকে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ মহামারি সহজেই সবচেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে করোনা শনাক্ত দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ এটি দ্বিগুণ হারে সংক্রমণ ঘটিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মহামারির ন্যায় এর সংক্রমণের গতি অবিরত।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জন্য জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি— তখন চীনের বাইরে ১০০ এরও কম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এমনকি চীনের বাইরে তখন কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সর্বোচ্চ মাত্রার বিপদ সংকেত ছিল ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা। জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা থেকে শুরু করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানার মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মহামারিকে হারানোর পথ পেতে পারে বিশ্ব। কিন্তু অনির্দিষ্টকাল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা কোনো সমাধান নয়।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, যেখানে এসব স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সেখানে সংক্রমণ নিম্নমুখী, যেখানে মানা হচ্ছে না সেখানে ঊর্ধ্বমূখী। এটিকে (করোনা) নিয়ে সামনে এখনও দীর্ঘ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কানাডা, চীন, জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর প্রশংসা করেন তিনি। সংস্থাটির জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো টেকসই ছিল না। অজানা এক সময় পর্যন্ত যে কোনো দেশের পক্ষে নিজের সীমান্ত বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। অর্থনীতি পুনরায় সচল করতে হবে। কাজে ফিরতে হবে মানুষকে। আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেও আবার সচল করতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ