শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ভূমি ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না : ভূমিমন্ত্রী

ভূমি ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না : ভূমিমন্ত্রী

দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে এই সেক্টর থেকে সব ধরনের দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। গড়ে তোলা হবে দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা। বন্ধ করা হবে দুর্নীতির পথঘাট। সাধারণ মানুষকে সহজে উন্নত সেবা দেওয়া হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না।JAVED VAI min

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সারা দেশে অবৈধ দখলদারের কবলে থাকা খাসজমি উদ্ধারে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা, তদারকিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘ই-মিউটেশন’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ লাভ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী বলেন, এই পুরস্কার ভূমি মন্ত্রণালয় ও দেশের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবার সম্মিলিত অর্জন এটি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হচ্ছে। ই-মিউটেশন এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই প্রশংসা আমাদের জন্য এক বড় পাওয়া। স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে আরো ভালোভাবে কাজ করে এই অর্জন ধরে রাখতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাইজেশন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন যেকোনো স্থান থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটে অনলাইনে জমির খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করা যায়। ‘হাতের মুঠোয় খতিয়ান’ স্লোগানে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আরএস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় নতুন এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে ভূমিসেবা দিতে গত বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অত্যাধুনিক হটলাইন (কল সেন্টার নম্বর-১৬১২৩) কার্যক্রম চালুর কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে অনিয়মের অভিযোগগুলো জনগণের কাছ থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যেই মূলত এই উদ্যোগ। আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি অফিসের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাই।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৬২ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ হাজার ৫৪ দশমিক ১৯, চট্টগ্রামে ২৪ হাজার ৮৫৯ দশমিক ৯৮, খুলনায় তিন হাজার ৪৪৫ দশমিক ৭৬, রংপুরে সাত হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৭, ময়মনসিংহে এক হাজার ৩৯৩ দশমিক ৮১, বরিশালে চার হাজার ৬৯ দশমিক ৬২, সিলেটে পাঁচ হাজার ১৬৪ দশমিক ৬৫ ও রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ১৬১ দশমিক ৬১ একর। এসব খাসজমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমস্যায় আছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বকেয়া ও চলতি বছরের অনাদায়ী ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। ভূমি আপিল বোর্ডের মামলা ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির সক্ষমতা যাচাই করতে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ