মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী ২৩ জুলাই

তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী ২৩ জুলাই

 ২৩ জুলাই ২০২০ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয়নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার অদূরে কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন  করেন। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক।

তাজউদ্দীন আহমদ অল্পবয়সে ছাত্রজীবনেই সমাজসেবার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের তিনি একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর।

১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের পর সামরিক শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরু করে একতরফা হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। এই গুরু দায়িত্ব তাজউদ্দীন আহমদ অত্যন্ত সূনিপুন ভাবে পালন করেন যার ফলে মাত্র নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বধীন সরকারে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র নিমর্মভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করে। এরপর তাঁকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি থাকা অবস্থায় তাঁকে এবং আরো তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার ভেতরে ঢুকে’৭৫ এর ৩ নভেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।

২৩ জুলাই ২০২০ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয়নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার অদূরে কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন  করেন। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক।

তাজউদ্দীন আহমদ অল্পবয়সে ছাত্রজীবনেই সমাজসেবার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের তিনি একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর।

১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের পর সামরিক শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরু করে একতরফা হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। এই গুরু দায়িত্ব তাজউদ্দীন আহমদ অত্যন্ত সূনিপুন ভাবে পালন করেন যার ফলে মাত্র নয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বধীন সরকারে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র নিমর্মভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করে। এরপর তাঁকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি থাকা অবস্থায় তাঁকে এবং আরো তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার ভেতরে ঢুকে’৭৫ এর ৩ নভেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ