শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা গ্রেফতার

জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা গ্রেফতার

জেকেজি হাসপাতালে করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে ডাকা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাবরিনাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টেলিফোনে বলেন, ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা টেস্ট নিয়ে জেকেজি হাসপাতালের জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ডা. সাবরিনাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গত ৪ জুন স্বামী আরিফুলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে সাবরিনা তেজগাঁও বিভাগের একটি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। তবে অন্তত দুই মাস আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সাবরিনা দাবি করেন। জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিত। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে, জেকেজি হাসপাতালে করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির বিষয়ে মুহূর্তেই নিজের বক্তব্য অস্বীকার করছেন প্রতিষ্ঠানটির অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও অস্বীকার করেছেন সাবরিনা। ১১ জুলাই সময় সংবাদের পক্ষ থেকে ডা. সাবরিনার সাক্ষাৎকার  নেয়া হয়। সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্য মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই অস্বীকার করেন তিনি। এর আগে জেকেজি হাসপাতালের  প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন জেকেজির অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা। তিনি বলেছেন, জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী এ মুহূর্তে আমার স্বামী না। আমরা আলাদা থাকছি। ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। আরও দুই মাস বাকি আছে (ডিভোর্স কার্যকর হতে)।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ