শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপ৯৪ দিনে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮০ জন

৯৪ দিনে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮০ জন

সামাজিক সংক্রমণের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চট্টগ্রামের প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় গত ৩ এপ্রিল। এরপর থেকে গত ৯৪ দিনে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮০ জন। সংখ্যা হিসেবে গড় আক্রান্ত ১০৯ জন হলেও পূর্বের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ৫ জুলাই শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৩১৮ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯২ জন। ৬ জুলাই সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান,  গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৯২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ১৮০ জন। এছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সরকারি, বেসরকারি ৬ টি ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মোট ১ হাজার ৩১৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের, বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৪ জনের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২২৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৭৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামের ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ৯৪ দিনের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সামাজিক সংক্রমণের শুরু হওয়ার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আক্রান্তের পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা করেছে দ্বিপদ্বী সমীকরণে। কিন্তু চট্টগ্রামে মিলেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সমীকরণ। কেননা এখানে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে দ্বিতীয় মাসে আক্রান্ত সংখ্যার ২ দশমিক ৩ বর্গগুণ হবে। কিন্তু চট্টগ্রামে এপ্রিল মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৭০ জন এবং মে মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৬ জন। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মে মাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা ১৭ হাজার ৫২৭ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী যতজন আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল ততজনের নমুনা পরীক্ষা ও চট্টগ্রামে হয়নি। তাই এ সমীকরণ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে মিললেও মিলেনি বাংলাদেশের সাথে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্তের সংখ্যা গত ৯৩ দিনের বিবেচনায় আগামী ৩০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৮ হাজারের অধিক। তবে এরমধ্যে যদি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। চলতি মাসে ৬ হাজার ৩০০ নমুনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ জন। গত ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন ও ১ জুলাই ২৭১ জন। যা গড় হিসেবে প্রতিদিন ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার তথ্য স্পষ্ট হচ্ছে।

৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪৩ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন।

৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে ৬১ জন, ১৩ মে ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে ১৩ জন,  ৮মে ১১ জন, ৭ মে ৫৭ জন, ৬ মে ১১ জন, ৫ মে ২২জন (তারমধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী চট্টগ্রামের রিপোর্টে যুক্ত হয়), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে ৩ জন, ১ মে ৩ জন।

৩০ এপ্রিল ১ জন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল ৩ জন, ২৭ এপ্রিল ৯ জন, ২৬ এপ্রিল ৭জন (রাজবাড়ী থেকে এসে যুক্ত হয় একজন), ২৫ এপ্রিল ২ জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল ১ জন, ২২ এপ্রিল ৩ জন, ২১ এপ্রিল ১ জন, ১৩ এপ্রিল ৪ জন, ১৮ এপ্রিল ১ জন, ১৭ এপ্রিল ১ জন, ১৬ এপ্রিল ১ জন, ১৫ এপ্রিল ৫ জন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল ২ জন, ১২ এপ্রিল ৫ জন, ১১ এপ্রিল ২ জন, ১০ এপ্রিল ২ জন, ৭ এপ্রিল ৩ জন, ৫ এপ্রিল ১ জন, ৪ এপ্রিল কোনো পজেটিভ পাওয়া যায়নি ও ৩ এপ্রিল ১ জন আক্রান্ত হয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ