প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয়ের `ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০` অর্জন করার জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত সহ ই-মিউটেশন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
আজ সোমবার ২৯ জুন ২০২০ তারিখে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, জুলাই ২০১৯ হতে দেশব্যাপী নামজারির প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, ফলে জনগণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে নামজারি করতে পারছে। এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম বারের মত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মর্যাদা `ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০` অর্জন করেছে। তিনি এ সময় আরও বলেন, আমি আশা করি সকল মন্ত্রণালয় এটা অনুসরণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন, ২০২০ খৃষ্টাব্দে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ জেনমিন কর্তৃক জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে প্রদত্ত এক চিঠির বরাত দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘ পুরুস্কার অর্জনের বিষয়টি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর, ১৬ জুন ২০২০ খৃষ্টাব্দে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ৭টি দেশের ৭টি প্রতিষ্ঠান কিংবা উদ্যোগের নাম ঘোষণা করে।
আরও উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই জটিল কর্মযজ্ঞ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ-এর নেতৃত্বে উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ‘ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল’ সম্প্রসারণ ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কারণে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি-এর নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে তিন পার্বত্য জেলা ব্যতিত সারা দেশে ইমিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কাজে কারিগরি সহায়তা করছে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্প। ভূমি সংস্কার বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সহকারি কমিশনার (ভূমি)গণের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
