সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েপ্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধ ও সরকারি...

প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধ ও সরকারি বৃহৎ প্রকল্পের টেন্ডারে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহন নিশ্চিতের দাবি এসবিএমএ ‘র

 

8B484FF1-63AC-4FD0-9975-CF659158650Eদেশিয় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প রক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে -এসবিএমএ’র নেতৃবৃন্দ।

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ ঘোষণা পরবর্তী আজ রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জওহর রিজভীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান।

সংবাদ সম্মেলনে এসবিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে এক অসম প্রতিযোগিতা চলে আসছে। দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারে কাস্টমস ডিউটি দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করলেও বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনাশুল্কে তৈরি পণ্য আমদানি করছে। শুধু তাই নয় আমদানিকৃত ডিউটি ফ্রি তৈরিপণ্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বোর্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারে বিক্রিও করছে। যার ফলে প্রতিযোগিতায় দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি জওহর রিজভী বলেন , স্টিল বিল্ডিং এ দেশিয় অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও সরকারি কোনো টেন্ডারে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ শিল্পের বিকাশে সরকারি সকল টেন্ডারে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহন নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাস্টমস ডিউটিও কমানো প্রয়োজন। পাশাপাশি এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাস্টমস ডিউটিও কমানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তিঁনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় , নোভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পের কাঁচামাল বিগত ডিসেম্বর-২০১৯ হতে আমদানি বন্ধ থাকায় এ শিল্পগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে বুঝা যাচ্ছে, স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসবিএমএ) অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৩০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে আরো প্রায় ২০০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন , শিল্পের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবে খ্যাত প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের ৯৯ শতাংশ ফ্যাক্টরি শেড বিল্ডিং বর্তমানে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং দ্বারা নির্মিত। প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং সাশ্রয়ী, ভূমিকম্প সহনশীল এবং গুণগত মান ঠিক রেখে, এ্যাকর্ড-এ্যালায়েন্স ও কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যয় সাশ্রয়ী সর্বোপরি স্বল্প সময়ে স্থাপনযোগ্য। এ জন্য শিল্পকারখানা স্থাপনে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিংয়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। বিগত ডিসেম্বর থেকে নোভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস চীনে সংক্রমিত হওয়ার কারণে দেশীয় আমদানিকারকরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উল্লেখ্য , এ শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আট লাখ মানুষ জড়িত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ