শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর কন্যা ডা. সামিয়া নাজনীন করোনায় আক্রান্ত

সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর কন্যা ডা. সামিয়া নাজনীন করোনায় আক্রান্ত

সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর কন্যা ডা. সামিয়া নাজনীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাযোদ্ধা মেয়ের সুস্থতা কামনায় মুক্তিযোদ্ধা বাবা সবার দোয়া চেয়েছেন।

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সুস্থ করে তুলতে গিয়ে আমার মেয়ে ডা. সামিয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।৩-৪ দিন আগে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরে ১১ মে রাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অসুস্থতার শুরু থেকেই শ্বশুরবাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছে।

তিনি বলেন, করোনা পজেটিভ হওয়ার পর থেকে মেয়ের মা রেহেনা চৌধুরী আর আমার চোখে ঘুম নেই। মেয়েটাও চিন্তিত। কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। ওর মাও কাঁদছে অবিরত। আমি কাঁদতে পারছি না । আমার ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, দলা দলা কান্না পাকিয়ে উঠছে কিন্তু চোখ ফেটে বের হতে পারছে না।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন: ‘আমার মেয়ে তার বাপের খাসলত পেয়েছে। আমি সারাজীবন জনসেবা করার চেষ্টা করেছি। অন্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছি । রাজনীতি, সাংবাদিকতা যখন যা করেছি সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে করেছি। পরের কাজে জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছি, কোন ফাঁকি রাখিনি। নিজের স্বার্থ নিয়ে কোনদিন মাথা ঘামাইনি। যখন যে কাজ করেছি তাতে ষোলআনা উজাড় করে দিয়েছি। নিজেকে এমনভাবে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে কখন জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি টেরই পাইনি। শেষ বেলায় হিসেব করে দেখছি আমার হিসেবের ঘরে ফাঁকি। আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। আমার প্লট নেই, ফ্ল্যাট নেই, গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, ব্যাংক ব্যালান্স নেই। আমার ছেলেমেয়েদের ইউরোপ-আমেরিকায় পড়াতে পারিনি’।

তিনি বলেন, আমার মেয়েও আমার মত আত্মবিস্মৃত হয়ে করোনা রোগীদের সেবা করতে গিয়ে নিজের শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে। আমার সকল মুরব্বী, মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক জীবনের নেতা, রাজনৈতিক সহকর্মী, সিনিয়র-জুনিয়র, বন্ধু, ছোট ভাইয়ের মত আমি যাদেরকে পরিচর্যা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি, তারা এবং আমার সহযোগী সাংবাদিক-সকলের প্রতি মিনতি, আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে তুলতে কারো কোন করণীয় থাকলে সাহায্যের উদার হস্ত নিয়ে এগিয়ে আসুন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। আমি মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি, আশা করি আমার মেয়েও করোনাযুদ্ধে জিতবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ