আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সংসদে আসুন। নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা দিন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। কোনো অজুহাতে সংসদ ত্যাগ করবেন না। এমন সুযোগ আর আসবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল ধর্মকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বরিশাল, রাজশাহীসহ অনেক জায়গায় ধর্মের ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে। যা নির্বাচনী আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। বিএনপি জামায়াতের সাথে হেফাজতে ইসলাম যোগ হয়ে এ সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ১৪ দলের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান করবো তারা যেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। পবিত্র ধর্মের ব্যবহার করে যারা আইন লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানান ১৪ দলের এ নেতা। ১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, হরতাল কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য এ হরতাল। এর আগে পাশ্ববর্তী একটি দেশের রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন। হরতালের নামে তাকে অসম্মানিত করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন এসেছিলেন তাকেও অসম্মানিত করা হয়েছে। তাকে তার সফর সূচি সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা হরতাল দিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে আমাদেরকে বারবার অসম্মানিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, গত হরতালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলা করা হয়েছে। এর আগেও আমাদের একজন নেতার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা করছি। হরতাল জাতির কাছে একটি যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্র। এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ পরিহার করুন। বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই তাদের জামিন দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননেন সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, নূহ-উল আলম লেনিন, গণআজাদী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সামাদ, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির নূরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আব্দুল লতিফ, ন্যাপের এনামুল হক, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন প্রমুখ।