শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার মডেলে টেস্টিং বুথ বসেছে বাংলাদেশে

কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার মডেলে টেস্টিং বুথ বসেছে বাংলাদেশে

বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সহায়তায় সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার মডেলে টেস্টিং বুথ বসেছে বাংলাদেশে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ জাতীয় ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে উত্সাহ দিচ্ছি। অবশ্যই, এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমাদের পরীক্ষা বাড়াতে বাড়তি সুবিধা দেবে।

তিনি জানান, এই বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করতে জনবলও কম লাগবে। এনজিও জেকেজি হেলথ কেয়ার নমুনা সংগ্রহ করছে এবং সেগুলো ডিজিএইচএস তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করবে।

তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার সময় এই বুথ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিটি নমুনা সংগ্রহ করার পর তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) বদলাতে হবে না।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক ড. সাবরিনা আরিফ বলেন, এ ধরনের মোট ৪৪টি নমুনা সংগ্রহ বুথ স্থাপন করা হয়েছে এবং আমরা আশা করছি সোমবার থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হবে।

৪৪টির মধ্যে আটটি ঢাকায়, আটটি নারায়ণগঞ্জে এবং বাকিগুলো অন্যান্য বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার মডেল অনুসরণ করে আমরা দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে মোট ৩২০টি বুথ স্থাপন করব।

কাঁচে ঘেরা কেবিনের মতো দেখতে নমুনা সংগ্রহ বুথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেখানে অবস্থান করেন সেখানকার পরিবেশ সবসময় জীবাণুমুক্ত থাকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বুথের বাইরে দাঁড়ানো মানুষের শরীর থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন এর সঙ্গে থাকা গ্লাভস দিয়ে। ফলে তারা থাকেন পুরোপুরি নিরাপদ।

কর্মকর্তাদের মতে, প্রতিবার নমুনা সংগ্রহের পর গ্লাভস এবং যে চেয়ারে বসিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলো তা জীবাণুমুক্ত করা হবে।

ডা. সাবরিনা বলেন, এই বুথগুলো স্থাপন করা হবে স্কুল বা কলেজ প্রাঙ্গণে। সেখানে অনেক মানুষের মধ্য থেকে স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালকে সুরক্ষিত রাখবে এই পদ্ধতি।

পরীক্ষার জন্য বারবার হটলাইনে কল করতে হবে না বিধায় এটা মানুষের দুর্ভোগও কমাবে। তারা নিজেরাই পরীক্ষার জন্য বুথে যেতে পারবেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) গত ২৮ জানুয়ারি থেকে সন্দেহজনক করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের পরীক্ষা করা শুরু করেছিল। বাংলাদেশে গত মার্চ পর্যন্ত কেবলমাত্র আইইডিসিআরেই কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করার সক্ষমতা ছিল।

গত কয়েক সপ্তাহে পরীক্ষার সুবিধা ঢাকায় নয়টি এবং অন্য জেলায় পাঁচটিসহ মোট ১৪টি ল্যাবে উন্নীত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলের একটি হাসপাতাল এইচ প্লাস ইয়াংজি এই ধরনের বুথের মাধ্যমে পরীক্ষার সুবিধা চালু করেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ