যারা বিদেশে আছেন তারা দেশে না আসলে ভালো হয়। প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসার দরকার নেই। আসলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ১২ মার্চ সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,করোনা আক্রান্ত তিন জন রোগী ভাল আছেন। আর যাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা সবাই অসুস্থ নয়। আরও দুজন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা করোনায় আক্রান্ত নয়। মন্ত্রী বলেন, সামিট গ্রুপ থেকে ৫টি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছেন। আমাদের জন্য অনেক উপকার হলো। আমরা অর্ডার দিয়েছিলাম আরও পাঁচটি। এখন সব মিলিয়ে ১০টি স্ক্যানার আছে। স্ক্যানার শুধুমাত্র টেম্পারেচার মাপতে পারে, এটি করোনা শনাক্ত করতে পারে না। যদি আমরা টেম্পারেচার বেশি পাই তখন তাকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশ করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। দুইমাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, এজন্য এখনও সেভাবে সংক্রমিত হইনি। দেশের সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাদের সহযোগিতা করুন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ থেকে আমাদের সোনার বাংলাকে বাঁচাতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। আমরা দুই মাস আগেই পাঁচটি স্ক্যানার অর্ডার দিয়েছিলাম, সেটা গত সপ্তাহে হাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার সামিট গ্রুপ পাঁচটি দিয়েছে। ফলে বর্তমানে স্ক্যানার নিয়ে সমস্যা নেই। বিমানবন্দরে দু’টি স্ক্যানার দু’বার যাত্রীরা ভেঙে ফেলেছে, দুবারই মেরামত করতে হয়েছে।
স্কুলে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। কারা এগুলো সরবরাহ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা শুধু স্কুল নিয়েই চিন্তা করি না। আমরা শিল্প কারখানার কথাও চিন্তা করছি। যেখানে অনেক জনসমাগম হয়ে থাকে। আমরা এসব স্থানে স্যানিটাইজার দেওয়ার কথা বলেছি। এটা স্কুল কর্তৃপক্ষরাই দিতে পারে। আর স্যানিটাইজার বলতে হাত ধোয়াকে বুঝিয়েছি। স্কুলে নির্দেশনা কে দিয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুলের দেখাশোনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় করে থাকে। আমরা শুধু নির্দেশনা বা পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা আবারও চিঠি লিখবো। যেখানে যেটা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে, সেখানে সেটা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ ভাইরাস সম্পর্কে করো জানা ছিল না। এর প্রতিক্রিয়া কী কেউ জানে না। যেখানে ইউরোপ আমেরিকা আটকাতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশ দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশ নিরাপদে আছে। দোয়া করি যাতে সবার সহযোগিতা দেশ যাতে নিরাপদে থাকে। হাসপাতালগুলোকে কোনো সার্ভে করা বা নিউমোনিয়া হলে করোনার টেস্ট হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যারা আসছে তাদের আমরা হাসপাতালে ভর্তি করছি। যাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে তাদের পরীক্ষা করছি করোনা আছে কিনা। পরীক্ষা করে দেখছি, যেখানে যখন প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে টেস্ট দিচ্ছি।