শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদটপকরোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা দেখাচ্ছে : রিজভী

করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা দেখাচ্ছে : রিজভী

করোনাভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আতংকজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এ নিয়ে চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তাদের সমস্ত মনোযোগ ও ব্যস্ততা মুজিববর্ষ নিয়ে। ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের সীমান্ত ও স্থলবন্দর অরক্ষিত, বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্যানার মেশিন নেই, যা দু’একটি ছিল তাও আবার নষ্ট হয়ে গেছে। মেগা প্রকল্পের নামে দেশে লুট চললেও মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কোনো কার্যকর প্রস্তুতিই নেই।

১৩টি হটলাইন আর কয়েকটি হাসপাতালে জোড়াতালির প্রস্তুতি চলছে। দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) নেই। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি বা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেগুলো কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে শনাক্তের কোনো যথাযথ ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দরে টাকার বিনিময়ে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। যে কারণে বিমানবন্দরে ইতালি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন তাদের রোগ শনাক্ত হয়নি। ইতালি থেকে আসা ওই দু’জন দেশে ফেরার চারদিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের একজনের স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৩টি হটলাইন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া য়ায় না। রিং হতে থাকলেও কেউ রিসিভ করে না। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বরং বাড়িতে থেকে হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে। বাস্তবে এটা ভাওতাবাজিতে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ