ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি বলেছেন এ বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যেই লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও উন্নতমানের গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম এলাকার নির্ধারিত স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও আপগ্রেডেড গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি’ কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশমালা, প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান, ত্রিমাত্রিক নকশা এবং স্বতন্ত্র বাড়ির নকশা বাস্তবায়নের বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখতে যেয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি এ কথা বলেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল, এমপি (লক্ষ্মীপুর-৩) ও সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, এমপি (লক্ষ্মীপুর-৪) সভাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট কমিটির মত অনুযায়ী সোনাপুর-রামগতি সড়কের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রচলিত ধারণার বাইরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত চর পোড়াগাছায় একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মুজিববর্ষ স্মারক গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে তার প্রবেশ পথে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
ভূমিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের অভ্যন্তরে স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। গ্রামের এক প্রান্তে একটি শিশু পার্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি চিন্তা করে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের বর্তমান মডেলের পরিবর্তে ভূমি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের মডেলটি ভবিষ্যতে প্রণিতব্য ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব)’তে অন্তর্ভুক্ত করে দেশব্যাপী আধুনিক গুচ্ছগ্রাম সৃজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে – ভূমিমন্ত্রী যোগ করেন। ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটির সঞ্চালনা করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সহ ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সহ লক্ষীপুরের কয়েকজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন।