শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপশহীদ মিনারে র‌্যাবের তিন ধাপের নিরাপত্তা

শহীদ মিনারে র‌্যাবের তিন ধাপের নিরাপত্তা

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন ঘিরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে বিভক্ত করে তিন ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। র‌্যাব ডিজি বলেন, অমর একুশের নানা আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে বহুমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় তিন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে র‌্যাবের। আজ দুপুর পর্যন্ত প্রথম ধাপ, আজ দুপুর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপ এবং পরবর্তী সময়ে তৃতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তবে দ্বিতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে পাঁচ সেক্টরে বিভক্ত করে সার্বিক নিরাপত্তায় র‌্যাব প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল, বাইক ও কার পেট্রোল টিম নজরদারি করবে। সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তায় র‌্যাব স্পেশালাইজড ইক্যুয়েপমেন্টের কথা উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভ থাকবে এবং র‌্যাবের হেলকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ‘আজিমপুর কবরস্থানেও অনেকে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন, সেখানেও র‌্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একুশের নিরাপত্তায় র‌্যাবের নজরদারি থাকবে,’ যোগ করেন তিনি। র‌্যাব ডিজি বলেন, নিরাপত্তা বর্তমান জীবনে অক্সিজেনের মতো। এখন এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমেরিকার টুইন টাওয়ার বিপর্যয়ের পর থেকেই বিশ্বব্যপী নিরাপত্তার বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এটি এখন দ্বৈনন্দিন জীবন-যাত্রারই অংশ। এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে যতো বেশি নিরাপত্তা থাকবে, মানুষ ততো স্বাচ্ছন্দ্যে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে পারবেন। নিরাপত্তার বিষয়টি এখন শুধু বাংলাদেশেরই বিষয় নয়, এটি বৈশ্বিক চিত্র। বাংলাদেশও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে থাকে। তাই নিরাপত্তা বিষয়টিকে অতিরিক্ত না দেখে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা উচিৎ। র‌্যাব প্রধান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত হুমকির বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। র‌্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নজর রয়েছে। যেকোনো হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে তা হালনাগাদ করা হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ