বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেপাল টাস্ক ফোর্স গঠন করবে

বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেপাল টাস্ক ফোর্স গঠন করবে

বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেপাল টাস্ক ফোর্স গঠন করবে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি।১৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বৈঠকের পর নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে চাই। এটি এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। টাস্কফোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি কীভাবে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির বিষয়ে প্রদীপ কুমার গাওয়ালি বলেন, ভারতের জিএমআর কোম্পানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। সেখান থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। কবে নাগাদ আমদানি শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি জিএমআর কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে। তবে আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে তা সম্ভব হতে পারে। অনিষ্পত্তি চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দুটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছি। একটি অগ্রাধিকার বাণিজ্যিক চুক্তি, অপরটি হলো বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি।

বৈঠক বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নেপালের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আসছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য। এই প্রস্তাবটি টেকনিক্যাল কমিটি বিবেচনা করবে। মোংলা বন্দর ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মোমেন বলেন, কৃষি, আইসিটি, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় নেপাল। তিনি বলেন, নেপালের কাছে হাইড্রো পাওয়ার চায় বাংলাদেশ। এছাড়া, ক্রসবর্ডার পাওয়ার ট্রান্সমিশন প্রতিষ্ঠায় ভারতকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় সহযোগিতা কার্যক্রম চালুর বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।

জলবায়ু পরিবর্তন, ট্রান্সবাউন্ডারি রিভার বেসিন ও পানিসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নেপালের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ। নেপালের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশ এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ