শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্লাড ব্যাংকে ৩টি মোবাইল ব্লাড কালেকশন গাড়ি হস্তান্তর

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্লাড ব্যাংকে ৩টি মোবাইল ব্লাড কালেকশন গাড়ি হস্তান্তর

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তার চলমান রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও দেশের প্রয়োজনীয় নিরাপদ রক্তের চাহিদা মেটাতে ভ্রাম্যমান রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা রক্ত কেন্দ্রসহ চট্রগ্রাম ও সিলেট রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংককে ৩টি মোবাইল ব্লাড কালেকশন বাস হস্তান্তর করা হয়।received_187395575807328

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মগবাজারস্থ জাতীয় সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ব্লাড কালেকশন গাড়ি ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৩টি মোবাইল ব্লাড কালেকশন গাড়ি ও গাড়ির চাবি ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট ব্লাড ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাম্যমান রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, আইএফআরসির বাংলাদেশস্থ প্রধান মি: আজমত উল্লা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ মহাসচিব মো: রফিকুল ইসলাম। বক্তব্যে রাখেন ডা: তারেক এম হোসাইন, পরিচালক, রক্ত কর্মসূচি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো: ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিডিআরসিএস চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, এমপি বলেন, রক্ত হলেই চলবেনা, সেটি অবশ্যই নিরাপদ রক্ত হতে হবে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সর্বদাই নিরাপদ রক্তই সরবরাহ করে থাকে। তিনি বলেন, দেশের রক্তের মোট চাহিদার ১১% নিরাপদ রক্ত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক (রক্ত কেন্দ্র) থেকে সরবারাহ করা হয়। সারাদেশে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ টি ব্লাড ব্যাংক ও ১টি সাব সেন্টারের মাধ্যমে এই রক্ত সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

প্রধান অতিথি বলেন, দেশে রক্তের বর্তমান চাহিদার সাথে তালমিলিয়ে চলা বড়ই কঠিন। তবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশে রক্তের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম তারই একটি অন্যতম উদাহরণ। আমরা এক বছরের মধ্যে ২৫% এবং কয়েক বছরের মধ্যে ৮০% রক্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হবো।

সোসাইটির ট্রেজারার জনাব লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশের রক্তের পর্যাপ্ত চাহিদা মেটাতে অবিরাম কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় রক্তদানের মধ্য দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীসহ মূমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে নেওয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে রেড ক্রিসেন্টের রক্ত কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ