রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন : শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি

পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন : শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি

শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কান্ডারি গ্র্যাজুয়েট তৈরির ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য। সুতরাং যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন লোভ-লালসা ও মোহ থেকে দূরে থাকবেন এবং পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন। তাহলেই শিক্ষার্থীরা আপনাদেরকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করবে।

আজ ১১ জানুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে একথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, উপাচার্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন।

নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে আবদুল হামিদ বলেন, আমি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করি। সে নির্বাচনে আমি ছিলাম গোটা পাকিস্তানে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। সত্তরের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যেতে পারিনি।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্লাস নেয়ার সমালোচনা করে আচার্য বলেন, একশ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে সপ্তাহব্যাপী ব্যস্ত সময় কাটান। এ সব কাজকর্মে তারা খুবই আন্তরিক।

রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে জেলখানার মতোই বঙ্গভবনে আছি। রাস্তায় স্বাধীনভাবে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে টেলিভিশনে দেখি, ওভারপাস আছে অথচ রিস্ক নিয়ে সমানে নিচ দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে।

এর আগে জবির ১ম সমাবর্তনে স্নাতক ১১ হাজার ৮৭৭ জন, স্নাতকোত্তর ৪ হাজার ৮২৯ জন, এমফিল ১১ জন, পিএইচডি ৬ জন, ইভিনিংয়ের ১ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

পদক দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং সমাবর্তন বক্তা পদার্থবিজ্ঞানে একমাত্র এমিরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ