শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে কোন ভীতি থাকবে না : প্রধান নির্বাচন...

ইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে কোন ভীতি থাকবে না : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে কোন ভীতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ০৮ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে, কিন্তু অভিযোগের ভিত্তি আছে কিনা তা আগে দেখতে হবে। ইভিএমে ভোট হলে কখনও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে কোনো সংঘাত নেই। সুতরাং নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো। অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে আশা করছি। গতকাল মঙ্গলবার এলাকার লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনে জমা হওয়া অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আমরা সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নেবো। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কমানো হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স রাখা হবে।

তিনি বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ইভিএম চালু হলে ভোট কারচুপি করা যাবে না, ব্যালট চুরি করার কোনো সুযোগ নেই। যারা পরিচালনা করবেন তাদের পরিশ্রম লাঘব হবে। তাছাড়া একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না। একজনের ভোট দেওয়া শেষ হলেই অন্যজন্য ভোট দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ইভিএম-ই একমাত্র উপায় যেখানে যার ভোট তিনি দিতে পারবেন। জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া একবার ভোট দিলেই দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। সে নিশ্চয়তা ইভিএম এর মধ্যে আছে।

প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ২৫ শতাংশ ভোট আছে এমন খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনেকটা চাঁদে মানুষের চেহারা দেখা যাওয়ার মতো। নির্বাচনের বিধি অনুসারে কোথাও এক শতাংশ ভোটও প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে আছে এমন কিছু লেখা নেই। এসব খবরের কোন ভিত্তি নেই। বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটার কম হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হলো- নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়া। বিশেষ করে বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে ভোটার সংখ্যা কম হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ