বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়আমাদের সরকার মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের সরকার মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সব থেকে যেটা প্রয়োজন মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করা। সুতরাং অপরাধী যে-ই হোক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। আজ ১০ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার প্যান প্যাসেফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে আমরা যেমন মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি, পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি-এগুলোর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজেই এগুলো সমাজকে ধ্বংস করে, সমাজকে নষ্ট করে। সমাজ থেকে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সব মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিচারের মাধ্যমে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমরা হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক আমরা এ বিষয়ে সোচ্চার। কারণ আমরা সব সময় মনে করি সরকার মানে জনগণের সেবক, জনগণের কাজ করে- সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করে সবার জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কমিশনের সে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণকে মানবাধিকার ও নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন করে গড়ে তোলা দরকার।

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কতগুলো কেস আপনারা দেখেছেন, আমরা কিন্তু দ্রুত সেটার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমাদের বিচার খুব স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগের নিশ্চিত করে দিয়েছি। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর ঘটনার বিচার চাইবার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী হয়েছিল, নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে, মানুষকে হত্যা করেছে সেইসব অপরাধীকেও পুরস্কৃত করা হয়েছিল। রাজনীতি করার অধিকার ও সংসদে সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল তাদের। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এসব অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, মানুষের অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন কাজ করে গেছেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের সরকারও মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে। আমরা যেকোনও অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অপরাধী যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমরা মানবাধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধেও লড়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ